টপ নিউজ ডেস্কঃ চলতি বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ ব্যাংকের উন্নতি হয়েছে মুনাফায় । একই সঙ্গে সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে । প্রভিশনে ছাড় দেওয়ার পাশাপাশি আদায় না করেই খেলাপি ঋণ কমাতে অবলোপনে (রাইট অফ) ছাড় দেওয়ায় ব্যাংকের মুনাফায় এই উন্নতি হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছাড় দেওয়ার কারণে নিয়মিত করে রেখেছে কোনো কোনো ব্যাংক ঋণ পরিশোধ না করার পরও । আবার আদায় ছাড়া পুনঃতফসিল করা ঋণের সুদ দেখিয়েছে আয় খাতে। সুযোগ পেয়ে অনেকে করেনি প্রয়োজনীয় প্রভিশন । এতে কিছু কিছু ব্যাংকের মুনাফা বেড়ে গেছে । আবার যারা যথাযথভাবে প্রভিশন করেছে তাদের মুনাফা কম হয়েছে। ব্যাংকগুলো যেহেতু মুনাফা দেখাচ্ছে, সুতরাং তাদের নিশ্চয়ই মুনাফা হচ্ছে। তবে কীভাবে মুনাফা বেড়ে যাচ্ছে, সে বিষয়টি দেখা উচিত ।
তারা আরও বলছেন, এভাবে প্রভিশন ছাড় দেওয়া উচিত হচ্ছে না। খেলাপি ঋণের ক্ষেত্রে যেভাবে ছাড় দেওয়া হচ্ছে, তাতে সার্বিক ব্যাংক খাতে ঝুঁকি বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে ব্যাংক খাতে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
ওই নির্দেশনায় বলা হয়, খেলাপি ঋণ নিয়মিত করতে আড়াই থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ অর্থ জমা দিলেই চলবে। আগে যা ১০ থেকে ৩০ শতাংশ ছিল । এসব ঋণ পরিশোধ ৫ থেকে ৮ বছরে করা যাবে । আগে এ ধরনের ঋণ পরিশোধে সময় দেওয়া হতো সর্বোচ্চ দুই বছর । বরাবরের মতো এবারও ডাচ-বাংলা ব্যাংক সবচেয়ে বেশি মুনাফা করেছে । চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারপ্রতি ৩ টাকা ৫৮ পয়সা মুনাফা করেছে , যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ২৫ পয়সা। সে হিসাবে শেয়ারপ্রতি ২৩ পয়সা মুনাফা বেড়েছে । মুনাফার পাশাপাশি ব্যাংকটির সম্পদের পরিমাণও বেড়েছে। চলতি বছরের জুন শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৫৫ টাকা ৯ পয়সা, যা গত বছরের ডিসেম্বর শেষে ছিল ৫৩ টাকা ১৩ পয়সা।
বড় মুনাফার তালিকায় যমুনা ব্যাংক দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে । এই প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি ৩ টাকা ৪ পয়সা মুনাফা করেছে , যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৬৪ পয়সা। মুনাফা বাড়লেও কোম্পানিটির কিছুটা কমেছে সম্পদের পরিমাণ । চলতি বছরের জুন শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ২৩ পয়সা, যা গত বছরের ডিসেম্বর শেষে ছিল ২৮ টাকা ৪১ পয়সা।
সম্পাদনায়ঃ পূরবী রায় ।