টপ নিউজ ডেস্কঃ আজ শুক্রবার দিবাগত রাত, পবিত্র শবে বরাত। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এ রাতে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় মহান আল্লাহর রহমত ও সন্তুষ্টি লাভের আশায় বিভিন্ন নফল ইবাদত যেমনঃ নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজগার করে থাকেন।
মুসলিম উম্মাহরা বিশ্বাস করে হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখের দিবাগত এই রাত সৌভাগ্যের রজনী। মহিমান্বিত এই রাতে মহান রাব্বুল আলামিন তাঁর বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। শবে বরাত সম্পর্কে মহানবী (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে আত্নপ্রকাশ করেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ব্যতীত তাঁর সৃষ্টির সকলকে ক্ষমা করেন।(ইবনু মাজাহ, আস- সুনান ১/৪৪৫;আল-মুসনাদ ২/১৭৬;কিতাবুত তাওহীদ ১/৩২৫-৩২৬)
শবে বরাত একটি ফারসি শব্দ যার কারণে আরবীতে এই শব্দের ব্যবহার নেই। তবে শাবান মাসের মধ্য তারিখের গুরুত্ব রয়েছে।
বিভিন্ন সহীহ হাদীসে বর্ণিত আছে, মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর কাছে শাবান মাসের রোযা ছিল সবচেয়ে প্রিয়। এ মাসে কখনো অর্ধম্স আবার কখনোবা প্রায় পুরো মাসই তিঁনি নফল সিয়াম পালন করতেন।
এছাড়াও আলী ইবনে আবী তালেব (রাঃ)-এ বর্ণিত আছে, হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন : যখন মধ্য শাবানের রাত আসে তখন তোমরা রাত জেগে সালাত আদায় করবে আর দিনে সিয়াম পালন করবে। কারন আল্লাহ তা’আলা সূর্যাস্তের পর দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন : আছে কি কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী, আমি তাকে ক্ষমা করবো। আছে কি কোন রিযিক প্রার্থনাকারী, আমি রিযিক দান করবো। আছে কি কোন বিপদে নিপতিত ব্যক্তি, আমি তাকে সুস্থ্যতা দান করবো। এভাবে ফজর পর্যন্ত বলা হতে থাকে। (ইবনে মাজাহ ও বাইহাকী)।
এই রাতটি মুসলীম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি রাত।
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা
উৎসঃ উইকিপিডিয়া