টপ নিউজ ডেস্কঃ আজ শুক্রবার (১৮ অক্টোবর), বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে বিশ্ব ডিম দিবস হিসেবে। আইইসি’র নিজস্ব ওয়েবসাইট ‘ইন্টারন্যাশনালএগ ডটকম’য়ে দেওয়া তথ্যানুসারে, সারা পৃথিবীতে ডিমের শক্তিছড়িয়ে দিতে প্রতি বছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার, (যা এবছর ১৪ অক্টোবর) এই দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
১৯৬৪ সালে প্রাণিজ প্রোটিনের এই সহজ উৎসের প্রতি ভোক্তাদের আকর্ষণ বাড়াতে ডিম ব্যবসায়িদের নিয়ে যাত্রা শুরু করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘দি ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশন’ (আইইসি)। বর্তমানে এই সংস্থার সদস্য সংখ্যা ৮০টি। ডিমের খাদ্যমান এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করার লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা’তে এই কমিশনের অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ‘ওয়ার্ড এগ ডে’ পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। সেই থেকে এই দিবস ৪০টিরও বেশি দেশে ঘটা করে আয়োজন করা হচ্ছে। আর এবছর এই দিবসটি আরো বিশেষ গুরুত্ব বহন করে কারণ, এবছর বিশ্ব ডিম দিবসের ২৫ বছর পূর্তি হচ্ছে। তাই এবারের আয়োজনটা আরও ‘এগ-সেলেন্ট’ হওয়ারই কথা!
২০১৩ সালে) ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত হয় বাংলাদেশ অ্যানিমেল অ্যাগ্রিকালচার সোসাইটি (বিএএএস এবং একই বছরের ১১ অক্টোবর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে পালন করা হয় ‘বিশ্ব ডিম দিবস’, যা ছিল ১৮তম বিশ্ব ডিম দিবস। সেই থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশেও বিশ্ব ডিম দিবস উদযাপন হয়ে আসছে। এবছর‘প্রতিদিন একটি ডিম, পুষ্টিময় সারাদিন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্বব্যাপী পালন করা হচ্ছে ডিম দিবস।
দিবসটি উপলক্ষে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল, ওয়ার্ল্ডস পোল্ট্রি যৌথ উদ্যোগে নানা কর্মসূচি পালিত হবে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে র্যালি, আলোচনা সভা এবং সেমিনার।
ডিমকে বলা হয় পরিপূর্ণ খাদ্য। সারা পৃথিবীতে মাত্র কয়েকটি খাদ্যকেই এই সুপার ফুড উপাধি দেওয়া হয়- যার মধ্যে অন্যতম ডিম। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র জানিয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পুষ্টিমান অনুসারে, একজন মানুষকে বছরে কমপক্ষে ১০৪টি ডিম খেতে হবে। এর বেশি হলেও কোনো ক্ষতি নেই তবে কম হওয়া উচিত নয় বলে জানিয়েছেন পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশে ডিমের উৎপাদন বিগত ১২ বছরে ৩০৭ শতাংশেরও অধিক বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বর্তমানে বাংলাদেশে ডিমের বাৎসরিক প্রাপ্যতা বেড়ে দাঁড়িয়েছে মাথাপিছু ১৩৬টি। বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ডিম উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশে বছরে এই ডিমের উৎপাদন দাঁড়াবে চার হাজার ৬৪৮ কোটি ৮ লাখ পিস। যা বর্তমানে বাংলাদেশে ডিমের উৎপাদন বছরে দুই হাজার ৫৭ কোটি ৬৪ লাখ পিস।
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা
[…] আজ বিশ্ব ডিম দিবস […]