টপ নিউজ ডেস্কঃ আমাদের শরীরের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় অঙ্গের নাম মস্তিষ্ক বা ব্রেইন। আমাদের শরীরকে তথা আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে ব্রেইন। তাই ব্রেইনের কোনো সমস্যা হলেই আমরা খুব সমস্যায় পড়ে যাই।
সামান্য মাথাব্যথা হলেই আমাদের আর কোনো কিছু ভালো লাগে না। অথচ এই অতিপরিচিত ও সাধারণ সমস্যাকেও আমরা গুরুত্ব দেই না। কিন্তু এই মাথাব্যথাই হতে পারে বড় ধরনের কোনো রোগের উপসর্গ। বিশেষ করে, ব্রেইন টিউমারের প্রাথমিক উপসর্গই মাথাব্যথা। আর সঙ্গে যদি বমি হওয়া, ভুলে যাওয়া ও আচমকা ব্ল্যাক আউটের মতো সমস্যা দেখা দেয় তাহলে সতর্ক হতে হবে।
এছাড়াও ব্রেইন টিউমারের আরো কিছু লক্ষণ আছে। যেমন, চোখে ঝাপসা দেখা, মুখের স্বাদ চলে যাওয়া, কাঁপুনি দেয়া, হাতের বা শরীরের একদিক অবশ হয়ে যাওয়া, ভারসাম্য রক্ষা করতে না পারা, চলতে গিয়ে পড়ে যাওয়া, ব্যক্তিত্বে বদল আসা এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
প্রতি বছর ৮ জুন ব্রেইন টিউমার সম্পর্কে সতর্কতা সৃষ্টি ও সচেতনতা বাড়াতে পালিত হয় বিশ্ব ব্রেইন টিউমার দিবস। ১৯৯৮ সালে গঠিত জার্মান ব্রেইন টিউমার অ্যাসোসিয়েশন নামের দাতব্য সংস্থার উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। ২০০০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
ব্রেইন টিউমার জীবননাশের কারণ হতে পারে, এজন্য রোগের নাম শুনলেই সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এই টিউমার শুধু মস্তিষ্কেও হতে পারে আবার শরীরের অন্যকোনো অংশে তৈরি হয়ে মস্তিষ্কে ছড়াতে পারে। সাধারণত ব্রেইন টিউমার বলতে কিছু অস্বাভাবিক কোষ অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে যদি মস্তিষ্কে চাকার সৃষ্টি করে তাকে বোঝায়।
টিউমারের আকার, ধরন, রোগীর বয়স ও শারীরিক অবস্থার ওপর ব্রেইন টিউমারের চিকিৎসানির্ভর করে। সাধারণত অস্ত্রোপচার, রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি আবার কখনো ইমিউনোথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া হয়।
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা