সর্বশেষ

43.9 C
Rajshahi
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

আজ মহামানবের ১০৪তম জন্মদিন

টপ নিউজ ডেস্কঃ আজ ১৭ মার্চ (শুক্রবার) স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, বাংলার মহামানব, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মদিন। আজ গভীর শ্রদ্ধা আর অবনত মস্তকে গোটা জাতি স্মরণ করবে ধন্য সেই পুরুষকে। স্মরণ করবে যাঁর হাত ধরে এই ভূখণ্ডে রচিত হয়েছিল এক অমর কীর্তিগাথা, ইতিহাসের সেই মহামানবকে। হাজার বছরের পরাধীনতার নাগপাশ ছিন্ন করে বাঙালিকে যিনি একটি জাতিসত্তার পরিচয়  এনে দিয়েছিলেন।

১৯২০ সালের আজকের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত শেখ পরিবারে তাঁর জন্ম। স্কুলজীবনেই বাঙালির অবিসংবাদিত এই নেতা জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কারণে কৈশোরে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র থাকাবস্থায় প্রথমবারের মতো কারাবরণ করেন তিনি। সেই থেকে শুরু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর রাজনৈতিক জীবনে ৪ হাজার ৬৮২ দিন কারাভোগ করেছেন।

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, আটান্নর আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন ও বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলনসহ পাকিস্তানি সামরিক শাসনবিরোধী সব আন্দোলন-সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত বাঙালির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ছয় দফায় ভীত হয়েপাকিস্তানের স্বৈরশাসক জেনারেল আইয়ুব খান বঙ্গবন্ধুসহ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের নামে মিথ্যা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করে কারাগারে পাঠান। এরপর ঊনসত্তরের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ মুজিবকে কারামুক্ত করে বাঙালি ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দিয়ে সম্মানিত করে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বাঙালি বঙ্গবন্ধুর পক্ষে অকুণ্ঠ সমর্থন জানায়। পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালির এ নির্বাচনী বিজয়কে মেনে না নিলে একাত্তরের মার্চে নজিরবিহীন অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেন বঙ্গবন্ধু। এরপর তাঁর ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রে ঐতিহাসিক ভাষণ – ‘এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম; এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম’।

২৫শে মার্চ কাল রাতে পাকিস্তানীদের নির্মম হত্যাযজ্ঞ শুরু হলে তিনি বাংলাদেশকে স্বাধীন ঘোষণা করেন এবং সে রাতে পাকিস্তান সামরিক সেনারা তাঁকে গেফতার করে বাংলার ভূখন্ড থেকে পাকিস্তানে নিয়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালের ১০ মার্চ তিনি তাঁর স্বাধীন বাংলায় ফেরেন। এরপর তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ বিনির্মাণে নিজেকে নিয়োজিত করেন। জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালে জাতীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। কিন্তু এর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫-এ কতিপয় বিপথগামী ক্ষমতালোভী সেনা সদস্যদের হাতে নিজ বাসভবনে তিনি সপরিবারে নিহত হন। স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়কের নিজ দেশের মাটিতেই জীবনাবসান ঘটে।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালির জন্মদিনটিতে জাতি উদযাপন করবে একই সঙ্গে ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবেও। রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁরা তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার শপথ নিয়ে দেশবাসীর প্রতি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles