হাবিবা সুলতানাঃ আত্মহত্যা প্রতিরোধ ও পূনর্বাসনের ক্ষেত্রে শুধু ভিক্টিম নয়, তার পরিবারেরও কাউন্সিলিং প্রয়োজন বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন আরএমপির ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারের ইনচার্জ মোহতারেমা আশরাফী খানম।
আজ (২৮ জুলাই) রাজশাহী কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত ওয়াও ফেস্টিবল বাংলাদেশ ২০২২ রাজশাহী চ্যাপ্টারে “আত্মহত্যা কি সত্যিই কোনো সমাধান?” শিরোনামে প্যানেল ডিসকাশনে এ কথা বলেন তিনি।
আত্মহত্যার চেষ্টার পর ভিক্টিমের পূনর্বাসনে পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে বলে জানান মোহতারেমা আশরাফী খানম। তিনি বলেন, ভিক্টিম তার পরিবারের কাছ থেকেই বেশি কটাক্ষের শিকার হন। তাই আত্মহত্যার চেষ্টার পর শুধু ভিক্টিম নয় তার পরিবারেরও কাউন্সিলিং প্রয়োজন।
প্যানেল ডিসকাশনে রাজশাহী কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক নূরজাহান বেগমের সঞ্চালনায় আত্মহত্যা- এর কারন, প্রতিরোধের উপায় ও পূনর্বাসন সম্পর্কে আরো গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের চেয়ারম্যান মাহবুবা কানিজ কেয়া এবং সমাজকর্মী মেফতাহুল জান্নাত।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের চেয়ারম্যান মাহবুবা কানিজ কেয়া আত্মহত্যার কারন, ধরণ এবং আত্মহনন রোধ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, আত্মহননকারী কিন্তু আত্মহত্যার বিষয়ে খোঁজখবর নেয়। আত্মহত্যার ঘটনা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে। এ বিষয়ক জিজ্ঞাসাগুলো খেয়াল করলে আত্মহত্যার মতো ঘটনা থামানো যেতে পারে।
সমাজকর্মী মেফতাহুল জান্নাত আত্মহত্যার অন্যতম কারন হিসেবে একাকীত্বের কথা বলেন।
এই ডিশকাসনের দর্শক হিসেবে ছিলেন অনেক অভিভাবক। এদের মধ্যে রাজশাহী কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শাখার এক শিক্ষার্থীর মা টপ নিউজকে বলেন, বর্তমানে অনেকসময় বাচ্চাদের মনে কি চলছে, ওরা কি বলতে চাচ্ছে, করতে চাচ্ছে বোঝা যায় না। এ ধরণের আলোচনা থেকে আমরা অনেক কিছু বুঝতে পারি।
উল্লেখ্য, ওয়াও – উইমেন অব দ্য ওয়ার্ল্ড ফেস্টিবল বাংলাদেশ চ্যাপ্টার রাজশাহী আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহী কলেজে অনুষ্ঠিত হয়েছে।