টপ নিউজ ডেস্কঃ ১. গতকাল মঙ্গলবার রাতে চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী এলাকার ব্যবসায়ী হান্নান মৃধা হত্যা মামলায় তাঁর স্ত্রী আয়শা বেগমের বড় ভাই শাওন ও হীরাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।গত সোমবার (১৪ মার্চ) রাতে নিহত হান্নান মৃধার বোন আমেনা বেগম বাদী হয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। ১ মার্চ হান্নান তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে আসার পথে নিখোঁজ হন।
২. পরের দিন ২ মার্চ চাঁদপুর মডেল থানায় হান্নানের পরিবার নিখোঁজের বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে । ১৩ মার্চ যশোর জেলার বেনাপোল এলাকায় হান্নানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ১৫ মার্চ রাতে যশোর জেলার বেনাপোল থেকে হান্নানের লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হইলে চাঁদপুরে নিয়ে আসা হয়। পরে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, হান্নানের স্ত্রী আয়শা বেগম পলাতক, হান্নানের হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরার জন্য অভিযান চলছে। গতকাল রাতে হান্নানের হত্যার সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করে আজ বুধবার ১৬ মার্চ সকালে তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।হান্নান মৃধা চাঁদপুর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিষ্ণুদী এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন মৃধার ছেলে। হান্নান ওই এলাকার একটি দোকানে পণ্য বিক্রি করতেন।
৩. হান্নান মৃধা নিখোঁজের পাঁচ দিন পর ৬ মার্চ এক নম্বর থেকে কল করে হান্নানের মুক্তির জন্য এক লাখ টাকা দাবি করা হয়। মুক্তিপণ দাবিকারীরা টাকা নিয়ে হান্নানের স্বজনদের বেনাপোলে যেতে বলে। হান্নানের পরিবার দাবি করেছে, তারা প্রথমে ৫০ হাজার টাকা দেয় কিন্তু এরপর মুক্তিপণ দাবিকারীদের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। পরে ১৩ মার্চ বেনাপোল সীমান্ত এলাকা থেকে হান্নানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
৪. হান্নানের লাশ নিয়ে আসার পর থেকে অপরাধীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছেন হান্নানের পরিবার এবং এলাকাবাসী। গতকাল মঙ্গলবার সকালে হান্নান মৃধা হত্যার বিচারের দাবিতে লাশ নিয়ে চাঁদপুর শহরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন। পরে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন সেখানে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে আশ্বস্ত করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
সম্পাদনায়ঃ মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ