সর্বশেষ

28.3 C
Rajshahi
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

জ্বালানী ব্যবস্থাপনার নতুন যুগে প্রবেশের অপেক্ষায় বাংলাদেশ

টপ নিউজ ডেস্কঃ বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, মহেশখালীতে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং বা এসপিএম-এর নির্মাণ কাজ শেষ হলে, জ্বালানি ব্যবস্থাপনার নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমদানি করা জ্বালানি তেল বড় জাহাজ থেকে লাইটারে, সেখান থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে পৌঁছায় রিফাইনারি ট্যাংকে। এতে ১ লাখ টনের তেলবাহী জাহাজ খালাস করতে লাগে ১১ দিন। এসপিএম চালু হলে সময় লাগবে মাত্র ৪৮ ঘণ্টা।

তিনি আরও বলেন, এতে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ জট কমবে, পরিবহন ব্যয়ে বছরে সাশ্রয় হবে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। সেইসাথে বাড়বে বাংলাদেশের তেল মজুত ক্ষমতা।

জানা গেছে, প্রাথমিক অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পটিতে মূল অনুমোদিত ব্যয় নির্ধারিত ছিল ৪ হাজার ৯৩৬ কোটি টাকা। এতে চায়না এক্সিম ব্যাংকের ঋণ ছিল ৪ হাজার ৬৮৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা। আর এই ঋণের গ্রেস পিরিয়ড ছিল ৫ বছর। সে অনুযায়ী চুক্তির দিন থেকে পরবর্তী ৫ বছর পর ঋণ পরিশোধ শুরু করতে হবে চীনকে। কিন্তু দুই দফায় ব্যয় ও সময় বেড়েছে প্রকল্পের। তৃতীয় সংশোধনী অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন মেয়াদ জুন ২০২৩ সাল পর্যন্ত হলেও এপ্রিল ২০২৩ সাল থেকেই ঋণ পরিশোধ শুরু করতে হবে। এ হিসেবে এই প্রকল্প শেষ হওয়ার দুই মাস আগে থেকেই ঋণ পরিশোধ শুরু হবে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)।

প্রাথমিক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন মেয়াদ ছিল নভেম্বর ২০১৫ সাল থেকে ডিসেম্বর ২০১৮ সাল পর্যন্ত। তবে বিভিন্ন কারণে ১৮ মাস পরে প্রকল্পের ঋণচুক্তি সই হয়। আর দুই দফায় প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বাড়ানোর পর গত মে মাসে তৃতীয় সংশোধনীতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৭ হাজার ১২৫ কোটি টাকা এবং মেয়াদ জুন ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে বাস্তবায়ন মেয়াদ জুন ২০২৩ সাল পর্যন্ত হলেও এপ্রিল ২০২৩ সাল থেকেই ঋণ পরিশোধ শুরু করতে হবে।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে- আমদানি করা অপরিশোধিত/পরিশোধিত তেল খালাস সহজ করা ও লাইটারিং অপারেশন ব্যয় কমানো।  দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণে বর্তমান রিফাইনারির প্রক্রিয়াকরণ সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করা এবং বার্ষিক ক্রুড অয়েল পরিশোধন ক্ষমতা ১.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন থেকে ৪.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টনে উন্নীত করা। ইআরএল-এর জরুরি শাটডাউনের ব্যাকআপ হিসেবে মহেশখালীতে ট্যাংক ফার্ম স্থাপন এবং পরিশোধিত তেল মজুদ ও সংরক্ষণ সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

সম্পাদনায়ঃ শাহাদাত হোসাইন

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles