টপ নিউজ ডেস্কঃ সোমবার একজন দোভাষীর মাধ্যমে এবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনকে পশ্চিমা সামরিকজোট ন্যাটোর সদস্য বানাতে আর কোনো অনুরোধ বা জোরাজুরি করবেন না তিনি।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সূত্রানুসারে, চলমান যুদ্ধে অন্তত ২০টি দেশ ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে । কিন্তু ন্যটো এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে এ যুদ্ধে অংশ নেয়নি। এমনকি,জেলেনস্কির বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও ইউক্রেনের আকাশসীমাকে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করেনি তারা। ন্যাটোর এমন নিষ্ক্রিয় ভূমিকা নিয়ে শুরু থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছেন ইউক্রেনীয় নেতারা।
আরেক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, “১৩ দিন ধরে শুধু প্রতিশ্রুতির কথাই শুনে আসছি। আকাশপথে নাকি আমাদের সাহায্য করা হবে। আমাদের জন্য বিমান পাঠানো হবে। এবিষয়ে এখনও যারা সিদ্ধান্ত নিতে পারল না, রাশিয়ার আক্রমণ থেকে ইউক্রেনের আকাশকে সুরক্ষিত রাখতে পারল না, দায়িত্ব কিন্তু তাদের উপরেও বর্তাবে।” পরবর্তীতে এবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমরা বুঝে গিয়েছি, ন্যাটো ইউক্রেনকে সদস্যভুক্ত করতে প্রস্তুত নয়। তারা বিতর্ককে ভয় পায়। রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাতেও যেতে চায় না তারা।”
ন্যাটোর সদস্যভুক্তির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি “এমন দেশের প্রেসিডেন্ট হতে চান না, যারা হাঁটু গেড়ে ভিক্ষে চায়।”
ভিডিও বার্তায় নিজের অবস্থান জানিয়ে তিনি আরও বলেছিলেন, “আমি কিয়েভের বাঙ্কোভা স্ট্রিটে আছি। আমি লুকিয়ে নেই। কাউকে ভয় পাচ্ছি না। দেশপ্রেমের এই যুদ্ধ জিততে যা যা করতে হবে, আমি করব।”
প্রথম থেকেই রাশিয়া বলে আসছে, তারা কোনোভাবেই চায় না যে প্রতিবেশী ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দিক। পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সম্প্রসারণকে হুমকি হিসেবে দেখে রাশিয়া।
প্রতিবেশী ইউক্রেনে হামলার অন্যতম অজুহাত হিসেবেও ছিলো কিয়েভের ন্যাটোর সদস্য পদ পাওয়ার চেষ্টা।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া, যার আজকে ১৪তম দিন। যুদ্ধ বন্ধের জন্য ইউক্রেনকে রাশিয়া যেসব শর্ত দিয়েছে, তার মধ্যে দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির বিষয়টিও রয়েছে। পুতিন চাইছেন, এই দুটি এলাকাকে ইউক্রেন স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিক।
রাশিয়ার এই দাবির সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলেনস্কি বলেন, দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের বিষয়ে একটা ‘আপস’ ও সংলাপ করার জন্য তিনি খোলামনে আছেন।এই দুটি অঞ্চলকে রাশিয়া ছাড়া আর কেউ স্বীকৃতি দেয়নি। তবে তাঁরা এ বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন। এই অঞ্চল দুটি কীভাবে থাকবে, সে বিষয়ে সমঝোতার উপায় খুঁজতে পারেন।
জেলেনস্কি আরো বলেন, ‘আমি নিরাপত্তা গ্যারান্টির কথা বলছি।’
সূত্রঃ এবিসি নিউজ, বার্তা সংস্থা এএফপি
সম্পাদনাঃ হাবিবা সুলতানা