টপ নিউজ ডেস্কঃ মিসরের প্রতিপক্ষ সেনেগাল, যাদের বিপক্ষে মিসরের গত ১৬ বছরে একটিও গোল নেই । তার ওপর আফ্রিকান নেশন্স কাপের ফাইনালে সেনেগালের কাছে হারের স্মৃতিটাও ঘা হয়ে জ্বলছে মোহামেদ সালাহদের হৃদয়ে। এবং সেই দলটির বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে প্লে অফ ম্যাচের আগে শঙ্কা ছিল মোহামেদ সালাহদের জন্য। প্রথম লেগে সে শঙ্কা উড়িয়ে দিতে পেরেছেন মোহামেদ সালাহর দল।সেনেগালের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতে বিশ্বকাপের পথে এক পা এগিয়েই রইলেন মোহামেদ সালাহর দল।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের চার মিনিটেই সালাহরা এগিয়ে গিয়েছিলেন । সেইটা হলো এক আত্মঘাতী গোলের সৌজন্যে। তবে গোলটা যে পেয়েছে মিসর, তার কৃতিত্বে অবশ্যই সালাহ ভাগ পাবেন। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে সতীর্থ আমর এল সুলাইয়া বক্সে থাকা সালাহকে বাড়ান বল। সেই বল আয়ত্বে এনে গোলমুখে দারুণ একটি শট নেয় লিভারপুল ফরোয়ার্ড। বলটা গিয়ে লাগে গোলপোস্টে। এই বলটি সেনেগালের ডিফেন্ডার সালিউ সিসের গায়ে লেগে বলটা আছড়ে পড়ে দলটির জালে। ফলে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় সালাহর দল।
লিভারপুলের এই ফরোয়ার্ড ছাড়া কোচ কার্লোস কিরোজের মিসরের আক্রমণভাগে আর কার্যকরী খেলোয়াড় নেই । সেই কারণে তার অধীনে সালাহর মিসর খেলে রক্ষণাত্মক ফুটবল। কেবল চার গোল করে আফ্রিকান নেশন্স কাপের ফাইনাল খেলাটা সে কৌশলের কার্যকরিতার প্রমাণও দিয়েছে।
আজকে আবারও কিরোজের রক্ষণাত্মক কৌশলের কার্যকরিতার দেখা মিললো। সেই কৌশলের গুণেই তো শুরুতে পাওয়া গোলটা সামলে জয় তুলে নেয় দল। পুরো ম্যাচে ৫৬ শতাংশ বলের দখল রেখে, মিসর গোলমুখে ১০টা শট করেও তাই সুবিধা করে উঠতে পারেনি সেনেগাল।
নিজেদের মাঠে পাওয়া ১-০ গোলের জয়ে বিশ্বকাপের পথে এগিয়ে রইলো সালাহর দল। তবে বিশ্বকাপে তাদের জায়গা করে নিতে হলে সেনেগালের মাঠে আরও ৯০ মিনিট পার করতে হবে দলটিকে। সেই ম্যাচে মিসর হেরে গেলেও বিশ্বকাপে চলে যাবে । তবে এই ক্ষেত্রে মিসরকে করতে হবে গোল, ২-১, ৩-২ ব্যবধানে হারে তাহলেও চলে যাবে বিশ্বকাপে সালাহর দল, কারণ কনফেডারেশন অফ আফ্রিকান ফুটবল অ্যাওয়ে গোলের নিয়মটা এখনো বাতিল করে দেয়নি ।
শেষ এক বছরে মোহামেদ সালাহদের গোলসংখ্যায় দেখলে বলা যায়, কোচ কার্লোস কিরোজ হাটবেন চোয়ালবদ্ধ রক্ষণের পথেই। মিশর চাইবেন গোলশূন্য ড্র নিয়ে চলে যেতে বিশ্বকাপে। মিশরের পরের ম্যাচ আগামী ২৯ মার্চ। বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় ।
সম্পাদনায়ঃ মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ