টপ নিউজ ডেস্কঃ দিনে দুই বেলা কাজ করেন সিটি কর্পোরেশনের মশকনিধন কর্মীরা। সকালে মশার লার্ভাতে কীটনাশক প্রয়োগ এবং বিকালে মশা মারার জন্য ফগিংয়ের কাজ। বিকালে ফগার মেশিন চালানোর সময় নগরবাসীরা মেশিনের প্রচণ্ড শব্দ ও ধোঁয়া ওড়ায় বুঝতে পারেন কাজ হচ্ছে।
বিকালে বুঝা গেলেও সকালে মশার লার্ভায় কীটনাশক প্রয়োগে কোনও শব্দ হয় না। এতে অনেকে অভিযোগ তোলেন যে সকালে কোনো কাজই হয় নি। আবার অনেক সময় মশক কর্মীরা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কাজে ফাঁকি দিয়ে থাকেন। তাই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মশককর্মীদের জন্য ঘণ্টা কিনেছে।
করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান বলেন, ‘সকালে যখন কর্মীরা কাজ করবেন, তখন তারা এটি বাজাবেন। এতে নগরবাসী ঘরে থাকলেও বুঝতে পারবেন, কাজ হচ্ছে। আর ঘণ্টা না বাজালে বোঝা যাবে যে, কী হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘মশককর্মীদের জবাবদিহিতা এবং নগরবাসীদের অভিযোগ থেকে মুক্তি দিতেই এই উদ্যোগ।’
তবে এই নতুন কেনা ঘণ্টা এখনও ব্যবহার হয়নি কোথাও। এ বিষয়ে উত্তর সিটির মিরপুর ১০ অঞ্চলে কর্মরত সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফিরোজ আলম বলেন, আমরা শুনেছি ৫৪টি ওয়ার্ডের জন্য কেনা হয়েছে ৫৪টি ঘণ্টা। এখনও মনে হয় বিতরণ করা হয়নি। আমরা এখনও পাইনি। এবং ‘উত্তর সিটির ১নং ওয়ার্ড উত্তরায় কর্মরত মশক সুপারভাইজার গোলাম মোস্তফা এ বিষয়ে জানিয়েছেন, তারা এই ঘণ্টা এখনও বরাদ্দ পাননি।
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা