টপ নিউজ ডেস্কঃ গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় একটি কওমি মাদ্রাসার খাবার খেয়ে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, ১৪ ছাত্র ও বাবুর্চি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। খাদ্যে বিষক্রিয়ায় এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা চিকিৎসকদের।পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মজাহেরুল ইসলাম কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় এমন ঘটনা ঘটে। অসুস্থ ব্যক্তিরা সবাই দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
অসুস্থ ব্যক্তিরা হলেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান, হেফজ শাখা, নুরানি শাখা ও নাজেরা শাখার ১৪ ছাত্র এবং বাবুর্চি জামিলা বেগম ।
দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম বলেছেন, গতকাল মঙ্গলবার(১৫ মার্চ) বিকেলের দিকে কওমি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও ছাত্ররা পেটব্যথায় আক্রান্ত হন। তারা বারবার বমি করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, এমন খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ১৬ জনকে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো গতকালও বাবুর্চি জামিলা বেগম দুপুরের খাবার রান্না করেন। বেলা আড়াইটার দিকে আমরা সবাই রান্না করা মসুর ডাউল ও আলু দিয়ে ভাত খেয়েছি। খাওয়ার প্রায় দুই-আড়াই ঘণ্টা পর আমাদের সবারই মাথা ঘোরাচ্ছিল এরপর পেটব্যথাসহ বারবার বমি হচ্ছিল। এতে আমরা সবাই দুর্বল হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। খাবার খাওয়ার সময় আমরা কোনো সমস্যা বুঝতে পারিনি। তবে খাওয়ার সময় বাবুর্চি জামিলা বেগম আমাদের একবার বলেছিলেন, ডাউলটা নাকি তাঁর কাছে একটু টক লাগছিল।’
দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাসিনুর রহমান বলেন, ওই মাদ্রাসার শিক্ষক-ছাত্রসহ মোট ১৬ জন বমি, পেটব্যথা ও দুর্বলতা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। অতিরিক্ত বমির কারণে তাঁদের শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়েছিল। আমরা তাঁদের চিকিৎসা দিচ্ছি। তাঁদের সবার অবস্থা এখন উন্নতির দিকে। খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে এমনটা হতে পারে বলে ধারণা করছে তারা।’
সম্পাদনায়ঃ মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ
