টপ নিউজ ডেস্কঃ ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের পর থেকেই রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলে অনুভূত হচ্ছে শীত শীত । তবে হঠাৎ শুক্রবার ভোরে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে রাজশাহীসহ উত্তরের পথ-ঘাট। সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কুয়াশায় চারপাশ ঢেকে ছিল। এ যেন হেমন্তেই শীতের আগমনী বার্তা। তবে সকাল ৯টার দিকে কুয়াশা সরিয়ে দেয় সূর্যের ঝলমলে রোদ।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, গত তিন দিন ধরে রাজশাহী অঞ্চলে কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা । শুক্রবার ভোর ৬টায় রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পাওয়া গেছে ১৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ২২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ।
অথচ একদিন আগেই বৃহস্পতিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ২১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার ভোররাত থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে উত্তরের পথ-ঘাটসহ রাজশাহীর রাস্তায় হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলতে দেখা গেছে। ট্রেনও চলেছে একইভাবে। হালকা শীতের কারণে গায়ে অপেক্ষাকৃত মোটা পোশাক জড়িয়ে কাজের উদ্দেশ্যে ছুটে যেতে দেখা গেছে শ্রমজীবী মানুষদের।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, রাজশাহীতে হঠাৎ করেই দেখা মিলেছে শুক্রবার ঘন কুয়াশার । এ কুয়াশার দৃষ্টিসীমা ছিল ২০০ মিটার। কয়েকদিন ধরেই রাজশাহীর তাপমাত্রা কমছে। রোজ ভোরে হালকা কুয়াশা পড়ছে।
এরমধ্যে মাঝারি ধরনের কুয়াশা দেখা না গেলেও শুক্রবার সকালে হঠাৎ প্রকৃতি ঢেকে যায় ঘন কুয়াশায়। তিনি আরও বলেন, এ কুয়াশা শীতের আগমনী বার্তা। আগামী দু-একদিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে আবারও ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাবে রাজশাহী। দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধানও কমে আসবে।
আবহাওয়াবীদরা বলছেন, এখন মুলত; আবহাওয়ার ট্রানজিশন পিরিয়ড চলছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শীতের অনুভূতি হলেও শীতের আমেজ নবেম্বরের শেষ দিকে শুরু হবে । মৌসুমি বায়ু বিদায় নেওয়ার পর বর্তমানে আবহাওয়া বিরাজ করছে হেমন্ত ঋতুর নাতিশীতোষ্ণ ।
সম্পাদনায়ঃ পূরবী রায় ।