মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগরের বীরতারা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড-এ অবৈধভাবে কেসি রোড খালের উপর ড্রেজার স্থাপন করে মাটি কাটা হচ্ছে। যার ফলে সড়কের শোল্ডার এবং ২টি গাছের ক্ষতিসাধন হচ্ছে। এছাড়াও হুমকির মুখে পড়েছে সড়কের পাশের ১১ হাজার ভোল্টের ১টি বৈদ্যুতিক খুঁটি। ভোজপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম ও শামসুল হকের ছেলে সাইফুলের কৃষিজমিতে মাটি ভরাটের কাজ করার জন্য সড়কের পাশে ড্রেজারটি স্থাপন করেন ভূইছিদ্র গ্রামের ওহাব শেখের ছেলে সুমন শেখ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত ৬ মার্চ কেসি রোড নামক খালের ওপর দিয়ে মাটি ভরাট করে প্রস্থে প্রায় ৪০ ফুটের একটি রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়। খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট ভূমি কর্মকর্তা সরেজমিনে গিয়ে খাল ভরাটের কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন এবং এইজন্য এলাকার ফসলী জমিগুলো জলাবদ্ধতার হাত থেকে রেহাই পায়। কিন্তু সুযোগ বুঝে সড়কের পাশে বালু ফেলে, খালে একটি ড্রেজারের সাব-স্টেশন তৈরী করে তারা সেখানে ড্রামট্রাকের মাটিসহ খালের মাটিও নিচ্ছে । যার ফলে সড়কের গাছ ও পাড় ভেঙে পড়ছে এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি হেলে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভোজপাড়ায় সকফিলউদ্দিন চৌধুরী রোডের পশ্চিম পাশে কয়েকজন শ্রমিক খালে ড্রেজার দিয়ে মাটি নেওয়ার কাজ করছে। এ সময় একজন ড্রেজার শ্রমিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি নিজে কিছু না বলে পাশে থাকা ড্রেজার মালিক সুমন শেখের সাথে কথা বলতে বলেন। এ বিষয়ে সুমন শেখের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি সরে পড়েন। অন্যদিকে জমির মালিক সাইফুল ইসলাম স্থানীয় চেয়ারম্যানের বরাত দিয়ে বলেন, এই কাজের বিষয়ে চেয়ারম্যান সাহেব জানেন। তিনি এই কাজের অনুমতি দিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি এড়িয়ে যান।
এবিষয়ে বীরতারা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী শহিদুল্লাহ কামাল ঝিলুর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এলাকার কৃষকদের কথা ভেবে সর্বপ্রথম খাল ভরাটের কাজে তিনিই বাঁধা প্রদান করেন। একাজে কাউকে অনুমোতি দেওয়ার কোনো প্রশ্নই উঠে না।
শ্রীনগর পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মদন গোপাল সাহা’র সাথে বৈদ্যুতিক খুঁটির বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থলে এখনই লোক পাঠাচ্ছি।
শ্রীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ এ ব্যাপারে জানান, খবর পেয়েই স্থানীয় ভূমি উপ-সহকারীকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। ড্রেজারটি বন্ধ করার জন্য এবং পরবর্তী ব্যবস্থার গ্রহনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য আনতে বলা হয়েছে।
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা