টপ নিউজ ডেস্কঃ আজ ২৯ মে (সোমবার) আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের সব দেশের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য অবদানকে স্মরণ করা হয়।
আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস প্রতি বছর ২৯ মে উদযাপিত হয়। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী সকল পুরুষ-নারীকে এদিনে শান্তি রক্ষার লক্ষ্যে সর্বোৎকৃষ্ট পেশাদারী মনোভাব বজায়, কর্তব্যপরায়ণতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাঁদের আত্মত্যাগের ঘটনাকে গভীর কৃতজ্ঞতা এবং যথোচিত সম্মানপূর্বক স্মরণ করা হয়।
১১ ডিসেম্বর, ২০০২ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ইউক্রেনের শান্তিরক্ষী সংস্থা এবং ইউক্রেন সরকারের যৌথ প্রস্তাবনায অনুযায়ী এ দিবসের রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়। আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস প্রথম উদ্যাপন করা হয় ২০০৩ সালে। ১৯৪৮ সালে সংঘটিত আরব-ইসরাইলী যুদ্ধকালীন যুদ্ধবিরতী পর্যবেক্ষণে জাতিসংঘ ট্রুস সুপারভিশন অর্গ্যানাইজেশন (আন্টসো) গঠনের দিনটিকে কেন্দ্র করে ২৯ মে দিনটি স্থির করা হয়। উল্লেখ্য, আন্টসোই হচ্ছে প্রথম জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, দীর্ঘ চার দশকের শান্তিরক্ষার ইতিহাসে বিশ্বের ৪০টি দেশে ৬৩টি জাতিসংঘ মিশন সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা। বর্তমানে বাংলাদেশের ৭ হাজার ৪৩৬ জন শান্তিরক্ষী ১৪টি দেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ও কার্যক্রমে নিয়োজিত আছে।
বর্তমানে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, সাইপ্রাস, মালি, সাউথ সুদান, লিবিয়া, সেন্ট্রাল আফ্রিকা ও সুদানে সাতটি দেশে নিয়োজিত রয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ৫১২ জন শান্তিরক্ষী। বাংলাদেশ পুলিশের নারীপুলিশ কর্মকর্তারা ২০০০ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন। বর্তমানে শান্তিরক্ষী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ পুলিশের ১৫৭ জন নারীপুলিশ নিয়োজিত রয়েছেন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন সম্পন্ন করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের ১ হাজার ৭৬৬ জন নারী শান্তিরক্ষী।
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা