টপ নিউজ ডেক্স: পেঁয়াজের সরবরাহ কমের অজুহাতে বাজার অস্থির। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম বাড়ছে কখনো, আবার কমছে আমদানি অনুমতির খবরে। পেঁয়াজের বৃহৎ মোকাম হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ভোগ্য পণ্যের বাজারে ঘটেছে ব্যাপক দরপতন পেঁয়াজের। রোববার (৪ জুন) সকালে যে পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকায় সন্ধ্যায় ৭০ টাকায় নেমে আসে তা ।
চাকতাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম গণমাধ্যমকে জানান, সকালে ৯০ টাকা করে পেঁয়াজ বিক্রি হয় খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে। কৃষি মন্ত্রণালয় পণ্যটি আমদানির অনুমতি দিয়েছে- এমন খবর প্রকাশের পরপরই কমতে শুরু করেছে দাম , এখন বিক্রি হচ্ছে কেজি ৭০ টাকায় ।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার (৫ জুন) থেকে শুরু হবে পেঁয়াজ আমদানি। রোববার (৪ জুন) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণে। সীমিত আয়ের, শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট লাঘবসহ এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায়।
ঢাকার আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে রোববার (৪ জুন) কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পেঁয়াজ আমদানির বিষয়টি উভয়সংকটের মতো আমাদের জন্য। পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিলে অনেক কমে যায় দাম, ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষক; আগ্রহ হারিয়ে ফেলে পেঁয়াজ চাষে। আর আমদানি না করলে বেড়ে যায় দাম, কষ্ট হয় ভোক্তাদের। সেজন্য, সবসময়ই আমরা আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি চাষি, উৎপাদক, ভোক্তাসহ সবার স্বার্থ বিবেচনা করেই।
দেশীয় পেঁয়াজের ন্যায্য দাম নিশ্চিতে ও কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় দেশের সব বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল গত ১৬ মার্চ থেকে। ঈদের পর থেকে দফায় দফায় দাম বেড়ে বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ১০০ টাকা ছুঁয়েছে যায়।
সম্পাদনায়: শাহনাজ সাফা