সর্বশেষ

33.7 C
Rajshahi
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

আজ নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের জন্মদিন

টপ নিউজ ডেস্কঃ আজ ১৩ নভেম্বর (রবিবার)  নন্দিত কথাসাহিত্যিক ‍হুমায়ূন আহমেদের ৭৫তম জন্মদিন। দীর্ঘকাল ধরে তিনি লেখার জাদুতে পাঠককে মোহিত করে রেখেছিলেন।

নন্দিত এই লেখক ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক, চলচ্চিত্র সব শাখাতেই অসম্ভব সফল । তিনি তার লেখায় প্রতিটি প্যারায় পাঠককে চমকে দিতেন। অনেক লেখক দেখা যায় দু–চার পাতা পর একটা চমক দেন। অনেক লেখক একটা অধ্যায়ের শেষে চমক রাখেন, যাতে পাঠক পরের অধ্যায় পড়তে আগ্রহ বোধ করেন। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদ পাঠককে চমকে দিতেন ক্ষণে ক্ষণে।  আর পাঠক চমকাতে চমকাতে একটা বিস্ময়কর ঘোরের মধ্যে চলে যায়।

আসলেই তিনি ছিলেন কথার জাদুকর। তিনি যেমন লেখার জাদুতে আলোড়ন তুলেছেন, তেমনি বিশাল সাম্রাজ্য গড়েছেন সৃজনশীলতার সব শাখাতেই পাঠক ও দর্শকদের নিয়ে। নন্দিত নরকে, কবি, শঙ্খনীল কারাগার, লীলাবতী, গৌরিপুর জংশন, বহুব্রীহি, এইসব দিনরাত্রি, দারুচিনি দ্বীপ, নৃপতি, শুভ্র, নক্ষত্রের রাত, আগুনের পরশমণি, শ্রাবণ মেঘের দিন, কোথাও কেউ নেই, জোছনা ও জননীর গল্প, এমন ঝড় তোলার মতো উপন্যাস উপহার দিয়েছেন আমাদের। তার বইয়ের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে তিনশ’র উপরে।

এছাড়া তার চলচ্চিত্র আগুনের পরশমণি, শ্রাবণ মেঘের দিন, শ্যামল ছায়া, চন্দ্রকথা, দুই দুয়ারী, নয় নম্বর বিপদ সংকেত এবং ঘেটুপুত্র কমলা সবগুলোই ছিলো দর্শকপ্রিয় ও ব্যবসা সফল।

সেইসাথে চলচ্চিত্র বা নাটকের জন্য তিনি গান লিখেছেন এবং তাতে সুরও দিয়েছেন- যা আজও জনপ্রিয়। ‘যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো ’, ‘চাঁদনী পসরে কে’, ’এক যে ছিল সোনার কন্যা’, ‘আমার ভাঙ্গা ঘরে ভাঙ্গা বেড়া ভাঙ্গা চালার ফাঁকে’ , ‘ও আমার উড়াল পঙ্খীরে’, ‘চাঁদনী পসর রাইতে যেন আমার মরণ হয়’ এসব গান আজো মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

১৯৯৪ সালে তিনি বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক `একুশে পদক` লাভ করেন। এছাড়াও তিনি সম্মানিত হয়েছেন লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩), বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮১),বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪)-এ।

তিনি ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাকনাম ছিল কাজল। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ এবং মা আয়েশা ফয়েজ। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা, আর মা ছিলেন গৃহিণী। তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়।

২০১২ সালের ১৯ জুলাই মরণব্যাধি ক্যানসারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র ৬৪ বছর বয়সেই তিনি তিনি আমাদের ছেড়ে  চলে যান না ফেরার দেশে। সেখান থেকে মরদেহ ঢাকায় আনার পর লাখো মানুষের অশ্রু পুষ্পতে সিক্ত হন তিনি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে। এরপর ২৪ জুলাই নুহাশপল্লীর লিচুতলায় চিরনিদ্রায় শায়িত করা হন তিনি।

সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles