টপ নিউজ ডেস্কঃ আজ ১০ মহররম ১৪৪৫, পবিত্র আশুরা। ‘আশুরা’ আরবি শব্দ, এর অর্থ দশম তারিখ। ইসলামি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মহরম। এ মাসের রয়েছে গুরুত্ব ও ফজিলত। মহরমের দশম তারিখকে আশুরা বলে। সৃষ্টির শুরু থেকে মহরমের ১০ তারিখে তথা আশুরার দিনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এর ফলে আশুরার মর্যাদা ও মাহাত্ম্য উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইসলামের ইতিহাসে অন্যতম হৃদয়বিদারক ও মর্মস্পর্শী একটি দিন আশুরা। এদিনে ৬২ হিজরি সনে কুফার ফোরাত নদীর তীরে কারবালার প্রান্তরে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত হুসাইন (রা.)-এর শাহাদতবরণ এ দিনকে বিশ্ববাসীর কাছে চিরস্মরণীয় ও অমর করে রেখেছে।
এছাড়াও পবিত্র আশুরার দিনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যময়। ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন এই দিনেই মহান আল্লাহ পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং এ দিনেই পৃথিবী ধ্বংস হবে। পৃথিবীর প্রথম মানব হজরত আদম আ:-কে আশুরার দিনই আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। হজরত নূহ আ:-এর আমলের প্লাবন এ দিন শেষ হয় এবং তুরস্কের ‘জুদি’ পর্বতে নূহ আ:-এর জাহাজ গিয়ে থামে। হজরত ইবরাহিম আ: জালিম বাদশাহ নমরুদের অগ্নিকুণ্ড থেকে নিরাপদে মুক্তি পান এই আশুরার দিনে। হজরত ইউনুস (আ:) এ দিন মাছের পেট থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। আশুরার দিনেই হজরত আইয়ুব (আ:) দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। আল্লাহ জালিম বাদশাহ ফেরাউনকে দলবলসহ পানিতে ডুবিয়ে মেরেছেন এ দিন এবং মুসা আ: ও তাঁর অনুসারীরা ফেরাউনের হাত থেকে নাজাত লাভ করেছেন। হজরত সুলাইমান (আ:) আশুরার দিন তাঁর হারানো রাজত্ব ফিরে পান। হজরত ইয়াকুব (আ:) এ দিনে হারানো ছেলে হজরত ইউসুফ (আ:)-কে ফিরে পেয়েছিলেন এবং এই দিনেই হজরত ঈসা (আ:) জন্মগ্রহণ করেন এবং তাঁকে দুনিয়া থেকে এ দিনেই আকাশে উঠিয়ে নেয়া হয়।
এই দিনটি ধর্মীয়ভাবে বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের পাশাপাশি মুসলিম বিশ্বে এ দিনটি বিশেষ পবিত্র দিবস হিসেবে গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়। পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশুরার তাৎপর্য তুলে ধরে পৃথক বাণী দিয়েছেন। শনিবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে।
প্রতিবেদকঃ হাবিবা সুলতানা