টপ নিউজ ডেস্কঃ আজ রবিবার, হিজরী ১২ রবিউল আউয়াল (৯ সেপ্টেম্বর), সারা দেশে অত্যন্ত মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। মুসলিম উম্মাহর শেষ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের পুণ্য স্মৃতিময় দিন আজ। সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে একটি বিশেষ মর্যাদার দিন ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)।
বিখ্যাত কুরাইশ বংশে সৌদি আরবের মক্কা নগরে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন এবং একই দিনে ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন।
যখন পুরো আরব জাহান পৌত্তলিকতা ও অনাচারের অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল, মহান আল্লাহ সত্য, ন্যায়, কল্যাণ ও একত্ববাদের প্রতিষ্ঠায় সেই আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগে তাঁর প্রিয় হাবিবকে অপার রহমত হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন। এ কারণে রাসুল (সা.)-এর সম্মানে তাঁকে ‘রহমাতুল্লিল আলামিন’ হিসেবে সম্বোধন করেছেন মহান আল্লাহ। বিনয়, দয়া, সহিষ্ণুতা, সহমর্মিতাসহ তাঁর মধ্যে সব মানবিক সদ্গুণের সর্বোচ্চ বিকাশ ঘটেছিল। শ্রেষ্ঠ মানবিক গুণাবলির অধিকারী হিসেবে ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়নির্বিশেষে সর্বকালে সর্বজনস্বীকৃত তিনি রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)।
এ দিনটিতে নফল রোজা ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রাখেন। বেশি বেশি দরুদ পাঠ, কোরআন শরিফ তিলাওয়াত, দান-খয়রাতসহ বিভিন্ন নফল ইবাদতের মধ্য দিয়ে দিনটি অতিবাহিত করেন তাঁরা। পবিত্র দিনটি উপলক্ষে রাসুল (সা.)-এর জীবনী নিয়ে আলোচনা এবং মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও পবিত্র এই দিনটি উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা, মহানগর রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় জশনে জুলুস বের করা হয়েছে।
আজ সকাল প্রায় ৯ টার দিকে রাজশাহী মহানগর গাউছিয়া কমিটির উদ্যোগে রাজশাহী নগরীর শিরইল কলোনীর বায়তুল মামুর জামে মসজিদ থেকে জশনে জলুস বের করা হয়। র্যালীটি দরগাপাড়া হযরত শাহ মখদুম (রাঃ) এর মাজারে চাদরপুসি, পুস্পস্তবক অর্পন ও মাজার জিয়ারত করে সমগ্র মুসলিম উম্মার এবং দেশ ও জাতির জন্য শান্তি কামনা করে মোনাজাত করে শেষ করা হয়। শিরইল কলোনী বায়তুল মামুর জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব মৌলানা আতাউল মোস্তাফা কাদেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন। র্যালী শেষে মসজিদে ফিরে মিলাদ মাহফিল এবং দোয়া করে বিতরন করা হয় প্রায় পাঁচ হাজার প্যাকেট তাবারুক।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহকে শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা