সর্বশেষ

43.2 C
Rajshahi
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

আজ পবিত্র জুম্মাবার

জেনে নেই জুম্মার সুন্নাতগুলো

টপ নিউজ ডেস্কঃ

আজ পবিত্র শুক্রবার, মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন আজ। শুক্রবারকে বলা হয় ইয়াওমুল জুমাআ বা জুমার দিন। আরবি শব্দ জুমুআ-এর অর্থ একত্র হওয়া। আল্লাহতায়ালা এই দিনটিকে ঈদের দিন হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। এই দিনটিতে মুসলিম উম্মা, সাপ্তাহিক ঈদ ও ইবাদত উপলক্ষে মসজিদে একত্র হয়, এজন্য দিনটিকে ইয়াওমুল জুমাআ বা জুমার দিন বলা হয়।

মহান আল্লাহতায়ালা এই দিনের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে কোরআনে বলেছেন, ‘মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর ইবাদতের জন্য দ্রুত যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বোঝ।’ (সূরা জুমুআ :০৯ )

জুম্মার ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায়, রাসূলুল্লাহ (সা.) হিজরতকালে কুবাতে অবস্থান শেষে শুক্রবার দিনে মদিনা পৌঁছেন এবং বনি সালেম গোত্রের উপত্যকায় পৌঁছে জোহরের ওয়াক্ত হলে সেখানেই তিনি জুমার নামাজ আদায় করেন।ইতিহাসে এটাই  প্রথম জুমার নামাজ।

জুমার আজানের আগেই সকল কর্মব্যস্ততা ত্যাগ করে জুমার নামাজের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে মসজিদে গমন করা, মুসলমানদের ঈমানি দায়িত্ব। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের দিক থেকে এই দিনটি অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ। এই দিনের ফরজের সঙ্গে কিছু সুন্নাতও রয়েছে। আসুন জেনে নেই উল্লেখযোগ্য কিছু সুন্নত।

 ১. জুমার দিন গোসল করা সুন্নাত।তবে যাদের ওপর জুমা ফরজ, তাদের জন্য এ দিনে গোসল করাকে রাসূল (সা.) ওয়াজিব করেছেন। (বুখারী: ৮৭৭, ৮৭৮, ৮৮০, ৮৯৭, ৮৯৮)।

২. জুমার সালাতের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা। (বুখারীঃ ৮৮০)।

৩. দাঁত মিস্ওয়াক করা। (ইবনে মাজাহঃ ১০৯৮, বুখারীঃ ৮৮৭)।

৪. গায়ে তেল ব্যবহার করা। (বুখারীঃ ৮৮৩)।

৫. উত্তম পোশাক পরিধান করে জুমার সালাত আদায় করা। (ইবনে মাজাহঃ ১০৯৭)।

৬. মুসুল্লী ও ইমাম মুখোমুখি বসা। (তিরমিযীঃ ৫০৯, ইবনে মাজাহঃ ১১৩৬)।

৭. মনোযোগসহকারে খুতবা শোনা ও চুপ থাকা- এটা ওয়াজিব। (বুখারীঃ ৯৩৪, মুসলিমঃ ৮৫৭, আবু দাউদঃ ১১১৩, আহমাদঃ ১/২৩০)।

৮. সময়ের আগে মসজিদে যাওয়া। (বুখারীঃ ৮৮১, মুসলিমঃ ৮৫০)।

৯. পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া। (আবু দাউদঃ ৩৪৫)।

১০. জুমার দিন ফজরের নামাজে প্রথম রাকাতে সূরা সাজদা আর দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ইনসান (দাহর) পড়া। (বুখারীঃ৮৯১, মুসলিমঃ৮৭৯)

১১. সূরা জুমা এবং সূরা মুনাফিকুন দিয়ে জুমার সালাত আদায় করা। অথবা সূরা আলা এবং সূরা গাশিয়া দিয়ে জুমা আদায় করা। (মুসলিমঃ ৮৭৭, ৮৭৮)।

১২. জুমার দিন ও জুমার রাতে বেশি বেশি করে দুরুদ পাঠ করা। (আবু দাউদঃ ১০৪৭)।

১৩. এ দিন বেশি বেশি দোয়া করা। (বুখারীঃ ৯৩৫)।

১৪. মুসুল্লীদের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনের কাতারে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা না করা। (আবু দাউদঃ ৩৪৩, ৩৪৭)।

১৫. কাউকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসার চেষ্টা না করা। (বুখারীঃ ৯১১, মুসলিমঃ ২১৭৭, ২১৭৮)।

১৬. খুৎবা চলাকালীন সময়ে মসজিদে প্রবেশ করলে তখনো দু’রাকাত ‘তাহিয়্যাতুল মাসজিদ’ সালাত আদায় করা ছাড়া না বসা। (বুখারীঃ ৯৩০)।

১৭. মসজিদে যাওয়ার আগে কাঁচা পেয়াজ বা রসুন না খাওয়া এবং ধুমপান না করা। (বুখারীঃ ৮৫৩)।

১৮. ঘুমের ভাব বা তন্দ্রাচ্ছন্ন হলে, বসার জায়গা পরিবর্তন করে বসা। (আবু দাউদঃ ১১১৯)।

১৯. ইমামের খুতবা দেয়ার সময় দুই হাঁটু উঠিয়ে না বসা। (আবু দাউদঃ ১১১০, ইবনে মাজাহঃ ১১৩৪)।

২০. সালাতের জন্য কোনো জায়গাকে নির্দিষ্ট করে না রাখা। অর্থাৎ আগে থেকেই নামাজের বিছানা বিছিয়ে জায়গা দখল করে না রাখা বরং যে আগে আসবে সেই আগে বসবে (আবু দাউদঃ৮৬২)।

সম্পাদনাঃ হাবিবা সুলতানা

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles