টপ নিউজ ডেস্কঃ আজ (২৮ মে) বিশ্ব মাসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিবস।এ বছর দিবসটি উদযাপনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘২০৩০ সালের মধ্যে মাসিককে জীবনের একটি স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা’।
নারীর স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে জার্মানিভিত্তিক অলাভজনক সেবামূলক সংস্থা ওয়াশ ইউনাইটেডই মাসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিবস পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ২০১৪ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
মাসিক নারীর প্রজননের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু বিশ্বজুড়ে নারীর মাসিক ও এর সচেতনা নিয়ে কথা বলা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পরিবর্তে কোথাও কোথাও লুকানো বা আড়াল করা হয়। এর ফলে অনেক কিশোরী ও নারী মাসিককালীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্পর্কে অজ্ঞ। এমনকি এসময় হওয়া সমস্যাগুলো নিয়ে কারো কথাও বলতে পারে না। নারী প্রজননস্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত করার জন্য মাসিক সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া বিকল্প নেই। এই উদ্দেশ্য পূরণে ওয়াশ উউনাইটেডের মতো আরো অনেক সংগঠনই বিষয়টিকে স্বাভাকিভাবে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে।
মাসিক অসেচতনতার কারণে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে এবং এর ফলে বিভিন্ন জটিল সমস্যাসহ ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই বিশেষজ্ঞরা মাসিকের সময় জীবাণুমুক্ত থাকার পাশাপাশি পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত পণ্য ব্যবহারের ওপর জোর দেন।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের হার ৩৮ শতাংশ তবে কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রবেশ বাড়লেও স্বাস্থ্যসম্মত প্যাডের ব্যবহারে এখনও ৩০ শতাংশের বেশি নয়। এর পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মাত্র ৪৩ শতাংশ কিশোরী স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করে এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ব্যবহার করেন ২৯ শতাংশ।
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা