টপ নিউজ ডেস্কঃ আজ ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৫ মে) বুধবার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী। একই সঙ্গে এ বছর পূর্ণ হলো তাঁর কালজয়ী কবিতা ‘বিদ্রোহী’ রচনার শতবর্ষ। এবার জাতীয় কবির জন্মজয়ন্তী উদযাপনের জন্য প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে – ‘বিদ্রোহীর শতবর্ষ’।
বরাবরের মতোই সারা দেশে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত হচ্ছে ‘নজরুলজয়ন্তী’। নজরুলের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। এবার জাতীয় অনুষ্ঠানের কেন্দ্র নির্ধারন করা হয়েছে কুমিল্লায়।
কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন নিপীড়িত মানবতার কবি। তাঁর জীবন ছিল ঘটনাবহুল। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোলের চুরুলিয়া গ্রামে তিনি জন্মেছিলেন। তাঁর ডাকনাম ‘দুখু মিয়া’। অভাব–অনটন ছিল শৈশব থেকেই তাঁর নিত্যসঙ্গী। শৈশব থেকেই লেটো দলের বাদক, রুটির দোকানের শ্রমিক এভাবেই পেরিয়ে গেছে তাঁর শৈশব–কৈশোর। পরে কাজ করেছেন সৈনিক হিসেবে। সাংবাদিকতা করেছেন। কাজ করছেন এইচএমভি ও কলকাতা বেতারে। তিনি নির্ভীক চিত্তে কুসংস্কার, ধর্মান্ধতা ও কূপমণ্ডূকতার বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষুরধার রচনা অব্যাহত রেখেছেন। থেকেছেন আপসহীন। লোভ–খ্যাতির মোহের কাছে মাথা নত করেননি। কারা নির্যাতনেও বিচ্যুত হননি লালিত আদর্শ থেকে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে পথে নেমেছেন। পাশাপাশি সাহিত্যসাধনা তো ছিলই। শাসকের কোপানলে পড়েছেন, কারারুদ্ধ হয়েছেন কিন্তু নত হয়নি নজরুলের উচ্চ শির।
নজরুল জন্মজয়ন্তী ও ‘বিদ্রোহী’র শতবর্ষ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কবির স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা