বাংলাদেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষই তাদের দাঁত মাজার আগে কিংবা পরে শুধু মাত্র পানি দিয়েই ব্রাশটিকে পরিষ্কার করে রাখেন। কিন্তু এতে করে ব্রাশে বাসা বাধে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু তা কি আপনি জানেন? তাই এই রকমের ব্রাশে দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করলে তা আদৌ পরিষ্কার হয় কি না একবার ভেবে দেখুন তো।
দাঁত মাজার ব্রাশটি ভালো থাকবে কোন উপায়ে, এ কথা অনেকেই ভাবেন না।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দাঁতের সঠিক যত্নের জন্য দাঁত মাজার ব্রাশের যত্ন নেওয়াও সমান ভাবে জরুরি।
অনেক বাড়িতেই দেখা যায়,পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের ব্রাশ একই পাত্রে সাজানো থাকে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে ব্রাশ রাখা মোটেও সু-অভ্যাস নয়। বরং এতে করে একজনের ব্রাশ থেকে অন্যজনের ব্রাশে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা অনেক গুন বেড়ে যায়। যদি একপাত্রে রাখতেই হয়, তবে অবশ্যই তাতে ঢাকনা পরিয়ে রাখতে হবে।
স্যাঁতস্যাঁতে ও আর্দ্রতাপূর্ণ আবহাওয়ায় রোগ-জীবাণুর বিস্তার কিন্তু অনেক সহজেই হয়ে যায়। তাই বাথরুমে ব্রাশ রাখা চলবে না। ডেন্টিসরা মনে করছেন, বাথরুমে রাখা ব্রাশে রোগ-জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তাই অনেকটাই বেশি।
ব্রাশ জীবাণুমুক্ত রাখতে কোনো অবস্থাতেই কিন্তু ব্রাশ ভেজা অবস্থায় ঢাকনাবদ্ধ করা যাবে না। কেননা ব্রাশ ভেজা অবস্থায় ঢাকা দিয়ে রাখলে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা বহুগুনে বৃদ্ধি পায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতি দু’সপ্তাহ অন্তর ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে আপনার ব্রাশটি এবং এর ঢাকনাকেও। এর জন্য ব্রাশ প্রতিবার ব্যবহার করার আগে ও পরে উষ্ণ পানিতে টুথব্রাশটির আগা ধুয়ে নেওয়া গেলে তবেই জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা কমে অনেকটাই। যদি গরম পানিতে ব্রাশ ধোয়া ঝামেলা মনে হয় তাহলে কোনো মাউথ ওয়াশে ২ মিনিট ব্রাশটিকে ডুবিয়ে রাখুন। এতেও কিন্তু জীবাণুমুক্ত হবে আপনার ব্রাশ।
যদি বাড়ির কেউ কোন ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্রাশ বদল করতে হবে বাড়ির সকলের। যদি ভুল করেও অন্য কেউ আপনার ব্রাশ ব্যবহার করে ফেলেন, তবে ওই ব্রাশ আর ব্যবহার না করাই ভালো মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
ডেন্টিসরা বলছেন, একই ব্রাশ দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করাটাও মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। যদি ব্রাশের ব্রিসলগুলো বিকৃত হয়ে যায় তাহলে সেই ব্রাশ ব্যবহার না করাই উচিত। তাই দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায় অন্তত প্রতি ২ মাস অন্তর অন্তর আপনার ব্যবহৃত ব্রাশটি পরিবর্তন করুন।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
সম্পাদনায়: নাসরিন ইসলাম