২০২১ সাল থেকে জরিপ করে দেখা গেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রত্যাশিত বাতাসের মান বজায় রাখতে পারেনি কোনো দেশই। বিশ্বের প্রায় ৬ হাজার ৪৭৫টি শহরের তথ্য বিশ্লেষণ করে মঙ্গলবার প্রকাশিত হয় এক প্রতিবেদন, যার মধ্যে দেখা গেছে, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাস বাংলাদেশের। যা গত বছরও একই স্থান ছিল বাংলাদেশের। আর প্রথমবারের মত আফ্রিকার দেশগুলোকে যোগ করায় তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চাদ।
সুইস সংস্থা আইকিউ এয়ার বায়ু দূষণ এবং বায়ু পরিশোধন প্রযুক্তি নিয়ে একটি বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছর প্রত্যাশিত বায়ুমান নিয়ে গাইডলাইন পরিবর্তন করে ডব্লিউএইচও। এতে বলা হয়, প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ভাসমান ২.৫ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার পরিমাণ কোনওভাবেই প্রতি ঘনমিটারে ৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়।
ডব্লিউএইচও ওই নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আইকিউ এয়ার। এতে দেখা গেছে, জরিপের আওতায় আসা মাত্র ৩.৪ শতাংশ শহর ডব্লিউএইচও’র প্রত্যাশিত মান বজায় রেখেছে। ৯৩টিরও বেশি শহরে পিএম২.৫ এর মান প্রত্যাশিত মানের চেয়ে ১০ গুণ বেশি।
বাংলাদেশের বাতাসে গড় পরিমাণ ছিল পিএম২.৫-এর ৭৬ দশমিক ৯ মাইক্রোগ্রাম, যা সমীক্ষার ১১৭টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল। এই হিসেবে গত বছরও বিশ্বে বাংলাদেশের বাতাসই ছিল সবচেয়ে দূষিত। দ্বিতীয় স্থানে চাদের বাতাসে ছিল পিএম২.৫ এর গড় পরিমাণ ৭৫.৯। তৃতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তানে এর পরিমাণ ৬৬.৮। চতুর্থ স্থানে তাজিকিস্তানে এর পরিমাণ ৫৯.৪। পঞ্চম স্থানে থাকা ভারতের দূষণের মাত্রা সামগ্রিকভাবে ২০২১ সালে আরও খারাপ হয়েছে। তাদের সামগ্রিক দূষণের মাত্র ৫৮.১। দিল্লি এখনও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর।
আইকিউ এয়ারের এয়ার কোয়ালিটি সায়েন্স ম্যানেজার ক্রিস্টি শ্রোডার বলেন, অনেক দেশ বায়ু দূষণ কমানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। চীনের অবস্থা আগে অনেক খারাপ থাকলেও এখন উন্নতি হচ্ছে। তবে বিশ্বে অনেক জায়গার বায়ু দূষণ পরিস্থিতি ‘ভয়াবহ’।