সর্বশেষ

26.2 C
Rajshahi
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

ঈদুল আযহা কে সামনে রেখে ব্যস্ত কামার পট্টি

টপ নিউজ ডেস্কঃ গ্রামীণ জীবনে প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী কামার শিল্পীরা এখন পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কাঁকডাকা ভোর হতে গভীর রাত পর্যন্ত টুং-টাং শব্দে মুখরিত হচ্ছে কামার পাড়া।

আর এক দিন পরেই পবিত্র ঈদুল আযহা। তাই কাজের ব্যস্ততা বেড়েছে কামার শিল্পীদের। হারিয়ে যেতে বসা বাংলার প্রাচীনতম কামার শিল্প যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। এখন দম ফেলারও ফুরসত নেই তাদের। দিনে ও রাতে সমান তালে লোহার টুং-টাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন কামারের দোকানগুলো।

গ্রামীণ জীবনের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী কামার শিল্প নানা সংকটে আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব, কারিগরদের মজুরী বৃদ্ধি, তৈরি পণ্যসামগ্রী বিক্রয় মূল্য কম, কয়লার মূল্য বৃদ্ধি, বিদেশ থেকে বড় বড় ব্যবসায়ীদের স্টীল সামগ্রী আমদানিসহ চরম আর্থিক সংকট ও উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা কম থাকায় ও বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে  এই কামার শিল্প বিপন্ন প্রায়।এর পরেও আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে  কামাররা দেশী প্রযুক্তির দা, কুড়াল, বোটি ছোট বড় চাকু, ছোড়া ও কাটারী বানাতে বেশ উৎসব মুখর ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। হাট-বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই গ্রামের লোকজন গরু, মহিষ, ছাগল জবাই ও মাংস তৈরির কাজের জন্য কামারদের কাছে প্রয়োজনীয় ধারালো দেশী তৈরী চাকু, বটি, কাটারি ও ছুরি তৈরীর আগাম অর্ডার দেয়া শুরু করায় কামার পল্লীগুলোতে টুংটুং শব্দে এখন মুখরিত হয়ে পড়েছে।। ঘুমাতে পারছে না পাশেরবাড়ির মানুষগুলো।

কামাররা জানান, সাড়া দিন হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে যে কয়টি জিনিস তৈরি করি তা বিক্রয় করে খুব বেশি লাভ না হলেও পরিবার-পরিজন নিয়ে  দুটো ডাল-ভাত খেয়ে বেচে থাকার স্বার্থে আদি এই পেশা এখনো ধরে রেখেছি। তবে সাড়া বছর কাজ-কর্মের ব্যস্ততা তেমন না থাকলেও কুরবানী ঈদকে সামনে রেখে আমোদের কর্ম ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। সারা বছর এই রকম কাজ থাকলে ভালই হতো।

সম্পাদনায়ঃ শাহাদাত হোসাইন

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles