টপ নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে যুগে মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা আরও সহজ করতে সড়কে ব্যাক্তিগত গাড়ি এবং গণপরিবহনের সংখ্যা বেড়েই চলেছে আর সেই সাথে বেড়ছে দুর্ঘটনার প্রবণতাও । এসব দুর্ঘটনার মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হলো গাড়ির ব্রেক ফেল। কিন্তু কিছু নিয়ম মানলেই ব্রেক ফেলের মতো সমস্যা পাশকাটিয়ে ভয়াবহ বিপদ এড়ানো সম্ভব।
ব্রেক ফেলের লক্ষণ ও কারণ সমূহ:
যদি গাড়ির ব্রেক ফেল করলে বা লক্ষণ দেখা দেয়, তবে লক্ষ করুন ব্রেকপ্যাডস থেকে আওয়াজ আসতে শুরু করেছে কি না। কখনও কখনও ব্রেক ক্যালিপারস আটকে যায় এ রকম হলে ব্রেকের তারও ছিঁড়ে যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্রেক মাস্টার সিলিন্ডার লিক করায় প্রয়োজনীয় প্রেসার না পেয়ে ব্রেক ফেল করে থাকে। আবার ব্রেকের তেল লিক করলে ব্রেক ফেল করতে পারে।
ব্রেক ফেল করলে যা করা উত্তম:
১ | প্রথমত গাড়ির গতি কমিয়ে দিন। বিরতিহীন গাড়ির ব্রেক প্যাডেলে চাপ দিতে থাকুন। এতে দ্রুত ব্রেকের কন্ট্রোল ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকে। |
২ | গাড়ির গিয়ার কমিয়ে একেবারে লোয়ার গিয়ারে নামিয়ে আনুন। যাতে গাড়ি স্পীড কমতে থাকে। |
৩ | কোনোভাবেই গাড়ি নিউট্রাল করবেন না। যদি নিউট্রাল করেন গাড়ি পেছনে যেতে শুরু করবে। তাতে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হারাবেন আপনি। |
৪ | এক্সিলেটরের বদলে ক্লাচ ব্যবহার করুন। |
৫ | অনবরত হর্ন বাজাতে থাকুন, যদি রাত হয় তাহলে হেডল্যাপ্প ডিপার্স, হ্যাজার্ড লাইট ছাড়াও ইন্ডিকেটরস জ্বালিয়ে দিন। যাতে অন্যরা বুঝতে পারেন গাড়িতে কোনো সমস্যা হয়েছে। |
৬ | গাড়ির এসি অন করে দিন। এতে ইঞ্জিনের ওপর প্রেসার বাড়বে ও গাড়ির গতি আরও কমতে শুরু করবে। |
৭ | যদি রাস্তায় কাদা অথবা বালি থাকলে গাড়ি সেদিকে নিয়ে যান। এতে ব্রেক ফেল করলেও গাড়ির গতি কমে যাবে। |
৮ | গিয়ার চেঞ্জ করতে হ্যান্ড ব্রেক ব্যবহার করুন।গাড়ির গতি ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকলে হ্যান্ড ব্রেক করুন।গতি ৪০ কিলোমিটারের বেশি থাকলে ভুল করেও হ্যান্ডব্রেক করা যাবে না। তাতে গাড়ি উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। |
৯ | আর যদি আপনার গাড়িটি থামানো সম্ভব না হয় তবে পুকুর, নদী বা ব্রিজ এড়িয়ে রাস্তার আইল্যান্ড/বালির স্তুপ/ডিভাইডার/ফুটপাত বা সুবিধামত অন্যকিছুর সাথে ঠেকিয়ে গাড়ি থামাতে হবে, তবে খেয়াল রাখবেন যানমালের ক্ষয়ক্ষতি যেনো না হয় বা কম হয় সেদিকে সজাগ থাকতে হবে। |