টপ নিউজ ডেস্কঃ বার্মিংহাম যাচ্ছি কমনওয়েলথ গেমস কভার করতে । ঢাকা ছাড়ার আগে সরকারের এক সাবেক অতিরিক্ত সচিবের টেলিফোন, ‘আমার কথা ভুইলেন না, আমার ডাকটিকিট চাই ।’ বন্ধু ইশতিয়াক বলেছিলেন, ‘দোস্ত কোটপিন কিন্তু আনবি।’ ক্রীড়া সাংবাদিকতার জীবনে যতবারই বিদেশ গিয়েছিকোটপিন এনে দিতে হয়েছে ইশতিয়াককে । আর সদ্য সাবেক অতিরিক্ত সচিবকে ডাকটিকিট। ছোটবেলা আমি আর ইশতিয়াক স্ট্যাম্প সংগ্রহ করতাম একসঙ্গে । কলেজের গণ্ডি পেরোনোর আগেই মিটে যায় আমার শখ । আমার স্ট্যাম্পগুলো দিয়ে ইশতিয়াক সমৃদ্ধ করেছে ওর সংগ্রহশালা । নেশা কাটেনি এখনো । মাঝেমধ্যে ওর বউ বিরক্ত হয়ে বলে, ‘আপনার বন্ধুকে বলেন পরিষ্কার করতে’ এসব জঞ্জাল , ইশতিয়াক টিকিটের চেয়ে বেশি ঝুঁকেছে এখন কোটপিনের দিকেই ।
গেমসে যে শুধু অ্যাথলেটরাই দৌড়ান তা নয় কিন্তু । আরেক দলও অবিরাম দৌড়াচ্ছেন । তারা ডাকটিকিট, বিভিন্ন দেশের মুদ্র, পিনসহ গেমসের বিভিন্ন স্যুভেনির সংগ্রাহক। কাক্সিক্ষত কোটপিন, স্ট্যাম্প পেলে বলে দেয় তাদের হাসি, পদক জিতেছেন যেন ।
সম্পাদনায়ঃ পূরবী রায় ।