টপ নিউজ ডেস্কঃ রাজধানীর সদরঘাট-গাবতলী বেড়িবাঁধ সড়কের স্লুইজ গেট এলাকায় কর্মব্যস্ত একদল নারী-পুরুষ। তারা কাজ করছেন পলিথিন বাছাইয়ে। ময়লা-আবর্জনাযুক্ত পলিথিন বেছে বেছে আলাদা করাই তাদের কাজ। মো. রুবেল নামের একজন ঢাকা মেইলকে জানান, তারা পলিথিন কেনেন বিভিন্ন জায়গা থেকে। ব্যবহৃত পলিথিন পাঁচ টাকা কেজি দরে কিনে যাচাই-বাছাই শেষে ১১ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন।
রুবেল জানান, যেসব দোকান থেকে তারা এই পলিথিন কেনেন, সেসব দোকানে পলিথিন আসে টোকাইদের কাছ থেকে এবং সিটি করপোরেশনের সেকেন্ডারি ট্রান্সফার সেন্টার (এসটিএস) থেকে।
রুবেল বলেন, ‘আপনারা বাসা বাড়ি থেকে যে পলিথিন ফালাইয়া দেন, ওইগুলা সিটি করপোরেশনের লোকজন আলাদা করে ময়লা বাছার সময় । ওগুলা আমরা কিনি। তারপর বাইছা আবার বিক্রি করি।’
পলিথিন পচে না। এটা পরিবেশের জন্য খারাপ। এটা বন্ধ করা উচিত। সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এর সঙ্গেই যেই জড়িত থাকুক, আমার ভাইও যদি জড়িত থাকে, তারপরও ব্যবস্থা নিতে হবে। পলিথিন বাছাই করে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। এক ভাগ তুরাগের পানিতে ফেলে দেওয়া হয় । আরেক ভাগ খদ্দেরের জন্য রাখা হয় । নোংরা এই পলিথিন কেনেন কামরাঙ্গীর চরের একদল ব্যবসায়ী।
একই তথ্য জানিয়েছেন এলাকার ব্যবসায়ীরা গাবতলী হাড্ডিপট্টি । এই এলাকায় পলিথিন বাছাইয়ের রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান । প্রতি কেজি ১১ টাকা হারে এই পলিথিন কিনে ওই ব্যবসায়ীরা তা গলিয়ে ফেলেন। সেখান থেকে পলিথিন ও প্লাস্টিক তৈরির দানা তৈরি হয়। আর সেই দানা থেকে পরবর্তী সময়ে পলিথিন ও প্লাস্টিক পণ্য তৈরি হয় ।
সম্পাদনায়ঃ পূরবী রায় ।