পুষ্টিবিদরা বার বার বলেছেন, প্রোটিনের জন্য বেশি ভরসা রাখুন ডিমের উপর। কিন্তু প্রতিদিন ডিম দিয়েই বা নিত্য নতুন কী রাঁধা যায়? আপনি যদি একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবেন, তা হলে কিন্তু উত্তর পেয়ে যাবেন ঠিকই! সম্প্রতি ‘কষে কষা’ রেস্তোরাঁ থেকে তেমনই একটি রেসিপি পেয়েছি আমরা – চিংড়ি মালাইকারি না পাওয়ার দুঃখটা নিশ্চিতভাবেই ভুলে যাবেন এ পদটি একবার চেখে দেখলে। উপকরণের মধ্যে দু’-একটা বাদ পড়লেও কিন্তু চিন্তা নেই, যা আছে, তাতেও দারুণ স্বাদ হবে! যাঁদের ঘি খেতে অসুবিধে আছে, তাঁরা তেল বা তেল আর ঘিয়ের মিশ্রণ ব্যবহার করে দেখতে পারেন ।
ডিমের পুষ্টিবিদ
উপকরণ
২ টো ডিম, সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিন
১০০গ্রাম পেঁয়াজবাটা
৫ গ্রাম আদা-রসুনবাটা
১০ গ্রাম টোম্যাটোবাটা
৫ গ্রাম গরমমশলাবাটা
১০ গ্রাম চিনি
স্বাদ অনুযায়ী নুন
৫ গ্রাম কাজুবাটা
২৫ গ্রাম নারকেলের দুধ (নারকেল ব্লেন্ড করে করে নিন গরম পানি দিয়ে, তার পর ছেঁকে নিতে হবে)
২ গ্রাম হলুদগুঁড়ো
২ গ্রাম লাল মরিচের গুঁড়ো
১ গ্রাম ছোটো এলাচের গুঁড়ো
১৫ গ্রাম ঘি
পদ্ধতি
সেদ্ধ ডিমের খোসা ছাড়িয়ে লবন-হলুদ মাখিয়ে ভেজে সরিয়ে রাখুন।
কড়াইয়ে ঘি গরম করুন প্রথমে।
পেঁয়াজবাটা দিয়ে দিন আর ভাজতে আরম্ভ করুন।
তেল বেরিয়ে এলেই আদা-রসুনবাটা দিন।
মশলাটা ভাজা হলে টোম্যাটোবাটা আর কাজু-বাদাম, হলুদ, মরিচেরগুঁড়ো দিয়ে কষতে আরম্ভ করুন।
মশলা থেকে তেল বেরিয়ে এলে লবন, চিনি, নারকেলের দুধ যোগ করে দিন।
ফুটে উঠলে ডিম আর গরম মশলার গুঁড়ো উপর থেকে ছড়িয়ে নামান নিন।
এটি ভাতের সঙ্গে খেতে দারুণ উপাদেয়!
রেসিপি সৌজন্য: কষে কষা রেস্তোরাঁ
সম্পাদনায়: নাসরিন ইসলাম