বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস ২১ মার্চ । প্রতিবছর ব্যাপক উৎসাহ–উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বে দিবসটি উদ্যাপিত হয়। জাতিসংঘ ২০১২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবসকে স্বীকৃতি দেয়। তখন থেকেই ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের মানবাধিকার, কর্মসংস্থান সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ও অন্যান্য মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করার প্রত্যয় নিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দিবসটি উদ্যাপিত হয়ে আসছে।
বৈশ্বিক পথচলার সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশে দিবসটি উদ্যাপিত হয় ২০১৪ সাল থেকে । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগ শুরু থেকেই বাংলাদেশে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের ভাষিক যোগাযোগের অধিকার নিশ্চিতকরণে ব্যাপক সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ডাউম সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশ যৌথভাবে এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দিবসটি উদ্যাপন করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থবারের মতো এবার বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস উদ্যাপিত হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস উদ্যাপন
‘#InclusionMeans-একীভূত সমাজ ব্যবস্থা, অংশগ্রহণে বাড়ায় আস্থা’ এ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস পালিত হয়। সকাল ১০টায় সব শ্রেণি–পেশার মানুষ ও ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু, কিশোর ও ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তন থেকে শুরু হয়।
র্যালি শেষে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ আলোচনা সভা । আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।
জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং দেশাত্মবোধক গানের সঙ্গে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুদের দলীয় নৃত্য পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আলোচনা সভা। কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগের চেয়ারপারসন তাওহিদা জাহানের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমান । এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম; সহকারী অধ্যাপক শারমিন আহমেদ এবং সহকারী অধ্যাপক সোনিয়া ইসলাম নিশাসহ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।