সর্বশেষ

43.9 C
Rajshahi
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

দুদক কর্মকর্তার চাকরিচ্যুতি, আইনজীবীদের করা রিট খারিজ

[১] দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক পদ থেকে অপসারিত (চাকরিচ্যুত) করা হয় মো. শরীফ উদ্দিনকে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে ১০ আইনজীবীর করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।

[২] ১৫ মার্চ (মঙ্গলবার) আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন অ্যাড. মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাড. মো. খুরশীদ আলম খান। ।

[৩] রিটকারী ১০ আইনজীবী হলেন: মোহাম্মদ শিশির মনির, রেজওয়ানা ফেরদৌস, মো. তারেকুল ইসলাম, উত্তম কুমার বণিক, মোস্তাফিজুর রহমান, মীর ওসমান বিন নাসিম, জামিলুর রহমান খান, সৈয়দ মোহাম্মদ রায়হান, মো. সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ নওয়াব আলী।

[৪] রিটে দুদকের চেয়ারম্যান, সচিব, কমিশনার (অনুসন্ধান), কমিশনার (তদন্ত), পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) এবং চাকরিচ্যুত সাবেক উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দীনকে বিবাদী করা হয়।

[৫] পরে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির গনমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমরা কোনো ব্যক্তির পক্ষে রিট করিনি। আমরা আলোচিত এই ঘটনায় গণমাধ্যমে শরীফ উদ্দীন এবং দুদকের পাল্টাপাল্টি যে বক্তব্য এসেছে, তার তদন্ত চেয়েছি। কারণ তদন্তেই মাধ্যমে প্রকৃত সত্য বের হয়ে আসবে। জনমনে বিভ্রান্তি দূর হবে। এ ছাড়া স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের প্রয়োজনে একটি কমিটি গঠন এবং ওই কমিটি কর্তৃক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট নথি সন্ধান করে বিষয়টি পর্যালোচনারও আবেদন করা হয়েছিল।

[৬] তবে ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ওই আইনজীবীদের যথাযথ আবেদন নিয়ে আসার কথা বলেন। সে অনুযায়ী পরবর্তীতে রিট করেন ওই ১০ আইনজীবী।

[৭] শরীফ উদ্দিন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় পটুয়াখালীতে উপসহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর আগে সাড়ে তিন বছর চট্টগ্রামে চাকরি করেছিলেন। সেখানে থাকাকালে কক্সবাজারে ভূমি অধিগ্রহণের সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকা দুর্নীতির ঘটনায় ১৫৫ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়ার সুপারিশও করেন তিনি।

[৮] এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া ও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক, সেসব মামলার বাদী ছিলেন শরীফ। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের জাতীয়তা সনদ দেওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সদস্য, পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে আলোচিত হন শরীফ উদ্দিন।

[৯] এ ছাড়া অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ স্থানান্তর ও নতুন সংযোগ প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (কেজিডিসিএল) বিভিন্ন অভিযোগ নিয়েও তদন্ত করেন শরীফ।

[১০] এরপর আলোচিত মামলা দায়েরের পর চট্টগ্রাম থেকে শরিফ উদ্দিনকে পটুয়াখালীতে বদলি করা হয়। সবশেষে জীবননাশের হুমকি পাওয়ার ১৬ দিনের মাথায় শরীফ উদ্দিনকে চাকরিচ্যুত করা হলো।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles