সর্বশেষ

37.3 C
Rajshahi
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

নওগাঁয় ২ কোটি টাকার লিচু বিক্রি সম্ভবনা

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ জ্যৈষ্ঠকে মধুমাস বলা হয়। কারণ এমাসে প্রায় সব ধরনের মিষ্টি ও রসালো ফল পাওয়া যায়। নওগাঁর বাজারেও অন্যান্য ফলের সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে মধুর মতো মিষ্টি ফল লিচু।

গত তিন সপ্তাহ থেকে নওগাঁর বাজারে লিচু পাওয়া যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্থানীয়ভাবে লিচুর উৎপাদন খুবই কম। তবে এ মৌসুমে প্রায় দুই কোটি টাকার লিচু বিক্রি সম্ভবনা রয়েছে।

মিষ্টি ও রসালো স্বাদ আর বৈশিষ্ট নিয়ে বিভিন্নজাতের লিচুর মধ্যে বেদানা, বোম্বাই, মাদ্রাজি, চায়না-৩সহ দেশি জাতের লিচুর ভারে নুয়ে পড়েছে গাছের ডালপালা। এ বছর লিচুর বাম্পার ফলন আসা করছেন বাগানীরা। বাজারেও ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষক।

কোনো ধরনের ছত্রাক বা রোগে আক্রান্ত না হয় এজন্য কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিচ্ছেন স্থানীয় লিচুও চাষিরা। আগামীতে ফলন উঠা পর্যন্ত গাছ ও ফলের পরিচর্যা কাজ চালিয়ে যাবেন তারা।

জেলা শহরের ডাবপট্টি ও কাঁচাবাজারের পাশে দেশীয় মৌসুমে ফলের সাতটি আড়ত রয়েছে। এসব আড়ত থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা লিচু কিনে থাকেন। এরপর শহরের স্থান বিশেষ করে তাজের মোড়, ব্রিজ মোড়, বাটার মোড়, দয়ালের মোড়, কাঁচাবাজার ও গোস্তহাটির মোড়ে স্থায়ী দোকানের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা লিচু বিক্রি করছেন।

গত বছরের চেয়ে এবছর লিচুর দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় ক্রেতারা কিনতেও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। বিক্রেতাদের সঙ্গে ক্রেতাদের বেশি দরদামও করতে হচ্ছে না। বাজারে এখন দিনাজপুরের বোম্বে ও স্থানীয় লিচু পাওয়া যাচ্ছে।

বোম্বে লিচু বিক্রি হচ্ছে ১০০ পিস ২৮০/৩২০ টাকায় এবং দেশীয় জাতের (আঁটি) লিচু বিক্রি হচ্ছে ৩৫০/৪৫০টাকায়। তবে চায়না-৩ জাতের লিচুর দেখা না মিললেও দোকানীরা বলছেন এটি বাজারে  আসতে শুরু করেছে  তবে এর ১০০ পিস বিক্রি হবে ৩৪০/৪৫০ টাকা। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বাজারে এ জাতের লিচুর  হরদমই পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে দামও কমবে।

লিচুর ক্রেতা নাছির হোসাইন বলেন, বাজারে কিছুদিন আগে যেসব লিচু পাওয়া গেছে সেগুলো টক ছিল। খেতে তেমন মজা পাওয়া যায়নি। এখন বোম্বে লিচু পাওয়া যাচ্ছে এবং দামও তুলনামূলক কম। তবে চায়না লিচু কিছুদিন পর পাওয়া যাবে। এ লিচুর আমদানি বেশি হলে দামও কমে যাবে। তখন আমাদের মতো ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্যে কিনে খেতে পারবেন। গত বছর বোম্বে লিচু বাজারে শুরুতেই ১০০ পিস ৩৫০/৪৫০ টাকা কিনে খেতে হয়েছিল।

নওগাঁর হাঁপানিয়া গ্রামের মৌসুমী ফল বিক্রেতা তারিকুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণভাবে লিচু বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন, গত ১৫ দিন থেকে বাজারে লিচু সরবরাহ বাড়ছে। বোম্বাই লিচু ১০০ পিসে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০/৪৫০ টাকা। চায়না-৩ জাতের লিচু বিক্রি হচ্ছে ৪৫০/৫৫০ টাকা। এছাড়া দেশীয় জাতের (আঁটি) লিচু বিক্রি হচ্ছে ৩৫০/৪৫০টাকা। বাজারে চায়না-৩ জাতের লিচুর চাহিদা ব্যাপক। তবে দামও একটু চড়া। বেশি বিক্রি হচ্ছে বোম্বাই জাতের লিচু।

নওগাঁ দেশীয় মৌসুমী ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও মেসার্স মিলন এন্টারপ্রাইজের মালিক মো.  মারুফ হোসেন বলেন, এ জেলায় স্থানীয়ভাবে লিচুর উৎপাদন খুবই কম। স্থানীয় লিচু আগেই বিক্রি হয়েছে। তবে দিনাজপুর, নাটোরের গুরুদাসপুর ও নাজিরপুর এবং রাজশাহী জেলা থেকে লিচু এনে চাহিদা পূরণ করা হয়।

জেলা শহরে সাতটি মৌসুমী দেশীয় ফল ব্যবসার প্রতিষ্ঠান আছে। এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীরা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় লিচু সরবরাহ করে থাকেন। এ মৌসুমে (একমাসে) প্রায় দুই কোটি টাকার লিচু বিক্রির সম্ভবনা রয়েছে।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles