শিরাজী ফেরদৌস ইমন : “কথায় বলে ধর্মের কল বাতাসে নড়ে বা অন্যের জন্য গর্ত খুড়লে কখনো কখননো নিজেই সেই গর্তে পড়ে মরতে হয়” কথাগুলো একেবারেই মিলে যায় তানোর উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সভপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুন এর ক্ষেত্রে। এই দু’জনই পুরো তানোর উপজেলা আওয়ামীলীগ এর নেতাকর্মীদের মাঝে বিশৃঙ্খলা,বিভেদ ও গোলযোগ সৃষ্টির মূল হোতা। আওয়ামী লীগ এর পদ-পদবি ব্যাবহার করে ব্যাপক সুযোগ সুবিধা নিয়ে উভয়েই রাজশাহী শহর ও রাজধানীতে প্রচুর অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। এমনকি মেয়র রাব্বানীর দেশের বাইরেও অর্থ পাচার করেছেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন,তানোর উপজেলা নির্বাচন, মুন্ডুমালা পৌরসভা নির্বাচনে রাব্বানী ও মামুন বার বার নৌকার বিপক্ষে অবস্থাণ নিয়ে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নৌকা কে অপমানিত পরাজিত করার চেষ্টা করছেন বার বার। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন এর সময় ব্যাপক চেষ্টা করেও গোদাগাড়ী-তানোর রাজশাহী এক আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে ব্যার্থ হয়ে রাব্বানী সাবেক সফল শিল্প প্রতিমন্ত্রী এবং অত্র এলাকার তিন বারের জনপ্রিয় সংসদ সদস্য শহীদ পরিবারের সন্তান আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর বিপক্ষে অবস্থান নেন। শুধু তাই নয় তিনি নৌকা কে হারানোর জন্য রাব্বানী বি.এন.পির প্রার্থী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের নিকট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা খেয়ে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করেন।
বসন্তের কোকিল হয়ে নিজ এলাকায় মাঝে মধ্যে রাব্বানী ও আল মামুন এসে কখনোবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী ও তার পরিবারের বিপক্ষে অবান্তর মিথ্যা করে চুপিসারে পালিয়ে যাচ্ছেন নয়তো চুপ করে যাচ্ছেন। রাব্বানী মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র থাকা অবস্থায় টেন্ডার বাজি, গরীবদের ১০টাকা কেজি চাল আত্মসাৎসহ ব্যাপক দূর্নীতির সত্যতা পাওয়া যায়, এছাড়াও বার বার কারণে-অকারণে রাব্বানীর বিদেশ ভ্রমণও বেশ সন্দেহজনক বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে সংগঠনের ব্যাপক ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করায় তানোরের আওয়ামী লীগ এর সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা রাব্বানী ও মানুনের বিপক্ষে বর্তমানে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন। উল্লেখ্য গত ৪ জুন আসন্ন তানোর উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত উপজেলা আওয়ামীলীগ এর বর্ধিত সভায় তানোরের তৃণমূল নেতৃবৃন্দ রাব্বানী ও মামুনকে দেখে প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠলে তারা পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। তানোরে আওয়ামী লীগ সভা চলা অবস্থায় মাত্র কিছু দিন আগে জেলা ও কেন্দ্রের নেতাকর্মীদের উপর নিজস্ব পেটোয়া বাহিনী নিয়ে হামলা করেন রাব্বানী ও আল মামুন।
বর্তমানে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কে ভুল বুঝিয়ে আবারো নেতৃত্বে আসার চেস্টা করে যাচ্ছেন তানোর আওয়ামী লীগ বিতর্কিত এই দুই নেতা। এ ব্যাপারে অত্র এলাকার সংসদ সদস্য ও সাবেক জেলা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন-” যারা দলের ক্ষতি করে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতিক নৌকা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনিত প্রার্থীর বিপক্ষে ভোট করে তারা আসলেই আওয়ামী লীগ কিনা তা আজ ভেবে দেখার সময় এসেছে। তিনি আরো বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিতর্কিত ব্যাক্তিদের দলীয় নেতৃত্ব থেকে অপসারণ করার নির্দেশ প্রদান করেছেন তাই আশা করি আমাদের বিচক্ষণ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নিশ্চয় আগামিতে এমন কাউকে তানোর উপজেলা আওয়ামীলীগ এর নেতৃত্বে আনবেন না যারা সব সময় নৌকা কে ফুটো করার জন্য হাতুড়ি ও শাবল নিয়ে ছুটে বেড়ায়। আসন্ন সম্মেলনে তানোরের সর্বস্তরের আওয়ামী নেতৃবৃন্দ বিশ্বাস ঘাতকদের দাঁত ভাঙা জবাব দেবে ইনশাআল্লাহ। টপ নিউজের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে রাব্বানী ও আল মামুন এর সাথে যোগাযোগ করা হলেও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।