সর্বশেষ

29.2 C
Rajshahi
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

পদ্মাসেতু হয়ে রেলপথ যাচ্ছে ঢাকা থেকে যশোর

টপ নিউজ ডেস্কঃ রেলপথ যাচ্ছে পদ্মাসেতু হয়ে ঢাকা থেকে যশোরে। এই রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ১৭২ কিলোমিটার। এর মধ্যে ২৩ কিলোমিটার হবে পুরোপুরি এলিভেটেড (উড়াল)। যশোর পর্যন্ত রেলপথের কোথাও থাকবে না কোনো লেভেল ক্রসিং। এতে মানুষের অনেক সময় বাঁচবে এবং দুর্ঘটনা কম হবে। দেশে প্রথম এই রেলপথ হতে চলেছে উড়াল ও লেভেল ক্রসিংবিহীন। সেতুর কাজের পাশাপাশি এগিয়ে চলছে রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজটিও।

রেলপথটি তৈরী হবে সর্বোত্তম প্রযুক্তি ব্যবহার করে। পদ্মা, বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী নদী পাড়িয়ে নির্মিত হচ্ছে রেলপথ। নিচু জমিসহ নানান কারণে ২৩ দশমিক ৩৮ কিলোমিটার রেলপথ হচ্ছে এলিভেটেড (উড়াল)। সড়কের মধ্যে রেল ক্রসিং এক জন দুর্ভোগের তাই এই রেলপথ তৈরী করা হচ্ছে লেভেল ক্রসিংবিহীন এবং দুর্ঘটনা এড়াতে তৈরী হবে আন্ডারপাসওঅ

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, ২৩ কিলোমিটার উড়াল রেলপথ নির্মাণ করা হবে তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়ে। প্রথম ভাগে (ভায়াডাক্ট-১ বা ভি-১) ঢাকার শ্যামপুর থেকে শুরু করে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৭৭ কিলোমিটার। এই পথে পড়েছে বুড়িগঙ্গা ও ধলেশ্বরী নদী। এছাড়া নিচু ভূমির কারণেই এ অংশে উড়াল রেলপথ নির্মিত হচ্ছে। অত্যাধুনিক এই এলিভেটেড রেলপথে ট্রেনের গতি হবে ১২০ কিলোমিটার ।
পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে । প্রকল্পের অগ্রগতি ৫৪ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৫৪ দশমিক ৯ শতাংশ। রেলপথ নির্মাণ কাজ তিনটি অংশে বিভক্ত হয়ে এগিয়ে চলছে ।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মাটি ভরাটসহ সব স্থানেই নির্মিত হয়েছে রেলওয়ে ব্রিজ। এছাড়া দৃশ্যমান হয়েছে মাওয়া স্টেশনের কাজও। ঢাকা-মাওয়া অংশের অগ্রগতি ৫০ দশমিক ৫ শতাংশ। এছাড়া মাওয়া-ভাঙ্গা ৭৭ ও ভাঙ্গা থেকে যশোরের অগ্রগতি ৪৬ শতাংশ।

প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (ওয়ে অ্যান্ড ওয়ার্ক) আবু ইউসুফ মোহাম্মদ শামীম বলেন, প্রকল্পের আওতায় ১৭২ কিলোমিটার মেইন লাইন নির্মাণ করা হবে। এই রেলপথে প্রায় ২৩ কিলোমিটারের বেশি এলিভেটেড বা উড়ালপথ নির্মিত হবে। উড়ালপথ নির্মাণ  অনেক ব্যয়বহুল। তারপরও নানা কারণে উড়ালপথ ছাড়া কোনো উপায় নেই। যেমন- প্রকল্প এলাকায় ঢাকা-বুড়িগঙ্গা-কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ এলাকায় নিচু জমি। এসব কারণেই উড়াল সড়ক নির্মিত হবে। উড়ালপথ হবে ব্যালাস্টলেস।

লেভেল ক্রসিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই পথে লেভেল ক্রসিং থাকবে না। সেজন্য কোথাও রেলওয়ে ওভারপাস কোথাও আবার আন্ডারপাস নির্মাণ করা হবে। এছাড়া বুড়িগঙ্গা ও মধুমতিসহ বেশকিছু নদীতে রেলসেতু নির্মাণ করা হবে। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে রেলপথের কাজ।

জানা যায়, প্রকল্পের মোট ব্যয় ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে চায়না ঋণ ২১ হাজার ৩৬ কোটি ৬৯ লাখ এবং সরকারি অর্থায়ন ১৮ হাজার ২১০ কোটি টাকা। প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সব কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা।

তবে চলতি বছর সড়ক সেতু খুলে দিলেও রেলপথের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২০২৪ সাল পর্যন্ত।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles