টপ নিউজ ডেস্কঃ আজ বিশ্ব সাংস্কৃতিক বৈচিত্র দিবস। বিশ্বে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের অবদানকে স্বীকৃতি দেয়ার লক্ষে আজ পালিত হচ্ছে দিবসটি। প্রতি বছর জাতিসংঘের আহ্বানে দিবসটি পালিত হয়।
২০০১ সালের নভেম্বরে ইউনেস্কো সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য বিষয়ক সর্বজনীন ঘোষণা দেয়। এই ধারাবাহিকতায় পরের বছর ২০০২ সালে দিবসটি পালনের আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। এরপর থেকে প্রতি বছর গোটা বিশ্বে পালিত হয়ে আসছে সংলাপ ও উন্নয়নের জন্য সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য দিবস। খুব অল্প সময়েই আমেরিকা থেকে ওশেনিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার প্রায় প্রতিটি দেশে এই দিবসের বার্তা পৌঁছে যায়। বিশ্বের সব মানুষকে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের গুরুত্ব ও সাদৃশ্য সম্পর্কে অবহিত করা এই দিবসের উদ্দেশ্য। বাংলাদেশে ২০০৭ সাল থেকে এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
সংস্কৃতি একজন মানুষকে প্রকৃত মানুষে পরিণত করে। গবেষকদের মতে- ভাষা, সাহিত্য, রীতিনীতি, মূল্যবোধ, মানবিকতা, জ্ঞান, শান্তি, শৌর্য, বিশ্বাস, সৌন্দর্য, চিরাচরিত প্রথা, মনোভাব প্রস্তুতির সমাহার হচ্ছে সংস্কৃতি। রয়েছে বস্তুগত সংস্কৃতিও। চারু, কারু শিল্প, স্থাপত্য, পোশাক-আশাক, খাবার-দাবার, আবাস, ব্যবহার্য উপকরণ ইত্যাদি বস্তুগত সংস্কৃতির অংশ। অর্থাৎ জীবনের অন্তর্গত সব বিষয়, কর্ম, চর্চা ও সাধনাই সংস্কৃতি। এটাই বাস্তবতা যে, মানবসমাজকে ভালোভাবে জানতে হলে বিশদভাবে বুঝতে হলে, তাদের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের খোঁজ খবর নেয়া জরুরি। বিভিন্ন বর্ণ, গোত্র, ভাষা সৃষ্টি হয়েছে এই বৈচিত্র্যের ফলে। অনন্তকাল ধরে এসব সংস্কৃতি একটির সঙ্গে অন্যটির সংযোগ ছিলো এবং তা আগামীতেও থাকবে।
একটি জাতির সার্বিক পরিচিতিই ফুটে ওঠে তার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের মাধ্যমে। সনদের মূল বিষয় হলো- মানুষের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও নান্দনিক বিকাশে সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তিগুলো চিহ্নিত করে সংরক্ষণ ও ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করা। এ দায় কেবল সরকারের নয়, এ ব্যাপারে সবাই মিলে সমন্বিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। তাছাড়া, আমাদের রয়েছে হাজার বছরের ঐতিহ্য লালিত সংস্কৃতি। সাংস্কৃতিক ও উদ্ভাবনীমূলক বিভিন্ন শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে আমরা সার্বিক অবস্থার উত্তরোত্তর উন্নতি ঘটাতে পারি।
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা