টপ নিউজ ডেস্কঃ আজ ১২ আগস্ট (শুক্রবার) বিশ্ব হাতি দিবস। দিবসটি ২০১২ সাল থেকে আজকের এই দিনে পালিত হয়ে আসছে। বাঘ, সিংহের পর যে প্রাণীটির কথা সবার চোখের সামনে ভেসে ওঠে তা হলো হাতি। জীবজগতের বৃহত্তম স্থলচর স্তন্যপায়ী প্রাণী এটি। এক শতাব্দী আগেও বিশ্বে ১২ মিলিয়নের বেশিসংখ্যক হাতি ছিল। এ সংখ্যাটি আজ চার লাখেরও কমে এসে দাঁড়িয়েছে। একটি জরিপ বলছে, প্রায় ২০ হাজার হাতি প্রতি বছর শিকারীদের হাতে মারা যাচ্ছে। এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও হাতি সংরক্ষণে পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্দেশ্যে দিবসটি পালন করা হয়।
একদিকে যেমন নগরায়ন এবং বনাঞ্চল ধ্বংসের কারণে নষ্ট হচ্ছে হাতির বিচরণভূমি, তেমন অন্যদিকে প্রাণী জগতের এই বৃহত্তম স্থলচর প্রাণী কালোবাজারি ও চোরাকারবারিদের শিকারে পরিণত হয় বিলুপ্ত হচ্ছে। সারা বিশ্ব থেকে গত দশ বছরে হাতি কমেছে ৬২ ভাগ। আগামী দিনে হাতি সংরক্ষণ এবং গ্রামবাসীদের হাতে হাতি নিধন ও চোরাশিকারীর উপদ্রব কমাতে না পারলে অনেকেরই আশঙ্কা বিশাল দেহের ডাইনোসরের মত বিলুপ্ত হবে হাতিও। ধারণা করা হচ্ছে, যে হারে প্রতি বছর হাতি কমছে তাতে ১০ বছর পর চিড়িয়াখানা ছাড়া আর কোথাও এই প্রাণীর অস্তিত্ব থাকবে না।
মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতার শিকার হয়ে বাংলাদেশের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এরা বনবিভাগের সাড়ে ৬ হাজার একর সংরক্ষিত বনের গাছপালা আর পাহাড় কেটে রোহিঙ্গারা আশ্রয়স্থল তৈরি করে। সেইসাথে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশপাশের আরও ২ হাজার একর গহীন বনাঞ্চল জ্বালানি সংগ্রহে ধ্বংস হয়েছে। প্রাণিদের অবাধ বিচরণ ও অভয়াশ্রম এসব পাহাড় ও বনভূমি ছিল। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জীববৈচিত্র্য।
বনবিভাগের ২০১৭ সালের এক জরিপ অনুযায়ী, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বনাঞ্চলে বিচরণকারী হাতি ছিল ৬৩টি। কিন্তু অনেক হাতি আবাসস্থল ধ্বংস ও খাদ্য সংকটে মারা গেছে।
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা