রাবি প্রতিনিধি: রাবি শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষ ধন্যবাদ জানালেন উপাচার্য। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, তিন দিনব্যাপী চলমান এই পরীক্ষার শেষ দিনে আজ বুধবার ইউনিট বি গ্রুপ-১: বাণিজ্য (সকাল ৯টা থেকে ১০টা), গ্রুপ-২: বিজ্ঞান (বেলা ১১টা থেকে ১২টা) ও গ্রুপ-৩: মানবিক (বেলা ১টা থেকে ২টা) এর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গ্রুপ-১, গ্রুপ-২ ও গ্রুপ-৩ এ চূড়ান্ত আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১৭ হাজার ৭১১, ১২ হাজার ৪৩৭ ও ৮ হাজার ৪৭৩ জন। পরীক্ষাসমূহে উপস্থিতির হার ছিল প্রায় ৮৭ শতাংশ।
এদিকে, সকাল ৯:৩০ মিনিটে ডীনস কমপ্লেক্সের সামনের চত্বরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপাচার্য বক্তব্য রাখেন।
ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সহযোগিতা প্রদানের জন্য উপাচার্য রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক, স্থানীয় এলাকাবাসী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ, গোয়েন্দা সংস্থা, স্থানীয় জনপ্রশাসন, গণমাধ্যম প্রতিনিধিবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। আগামীতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ডে অনরূপ সহযোগিতা পাওয়া যাবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, “আমি বিশেষ করে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের … তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে, সমিতির ব্যানার বলুন, কিংবা ফোরাম, তারা সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। এই বিষয়টি আমাদেরকে আত্মপ্রত্যয়ী করে তুলছে। আমরা আশা করছি, ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা যেকোনো দুরূহ কাজ কর্তে পারবো “
তিন দিনব্যাপী চলমান এই ভর্তি পরীক্ষায়, ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন জেলা ফোরাম অস্থায়ী বুথ স্থাপন করে ভর্তিচ্ছুদের নানাবিধ সহযোগিতা করেছে।
এছাড়া, ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর ভূমিকাও ছিল চোখে পড়ার মতো। ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অস্থায়ী টেন্ট বসায়: রাবি ছাত্রলীগ, রাবি ছাত্র ইউনিয়ন, মহানগর ছাত্রলীগ সহ প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো। রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, “প্রতিবারের মতো এবারও রাবি ছাত্রলীগ ভর্তিচ্ছুদের আবাসন সুবিধা থেকে শুরু করে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে। ছাত্রী হলগুলোতে এবার কমিটি দেওয়া হয়েছে, তারাও সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে।”
প্রসঙ্গত, এই বছর রাবিতে ৪ হাজার ২০ টি আসনের (কোটা ছাড়া) বিপরীতে, তিনটি ইউনিটের জন্য চূড়ান্ত আবেদন প্রক্রিয়া শেষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৬৮ জন ভর্তিচ্ছু, যেখানে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়াই করেছেন প্রায় ৪৪ জন পরীক্ষার্থী।