সর্বশেষ

43.3 C
Rajshahi
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

ভিন্ন নামে চালু হয়েছে সেই কুমিল্লার কলঙ্কিত ইটভাটা

প নিউজ ডেস্ক: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার নারায়নপুর এলাকায় স্থাপিত কাজী অ্যান্ড কোম্পানি নামের ভাটা নাম বদলিয়ে এখন ভিন্ন নামে চালু হয়েছে।

কুমিল্লার প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ হওয়া সেই ইটভাটা এবার মজুমদার ব্রিকস নামে চালু করা হয়েছে। ওই ইটভাটায় ১৩ শ্রমিকের প্রাণহানির ঘটনার পর ভাটাটি বন্ধ করে দিয়েছিল স্থানীয় প্রশাসন।

চৌদ্দগ্রাম সদর থেকে কিছুটা দূরে এই সবুজ প্রান্তরের মাঝেই গড়ে উঠেছে মোট ৫টি ইটভাটা। যার ফলে সবুজ প্রান্তর এখন লাল পোড়া মাটিতে রঙিন ছাপে মলিন হয়ে পড়ছে। শুধু কি লাল পোড়া মাটির রঙ? সেখানে মিশে আছে ১৩টি তাজা প্রাণের রক্তের রঙও।

সাল ২০১৯ নতুন বছর শুরু হয়েছে। ২৬ জানুয়ারি উপজেলার নারায়নপুর গ্রামে মজুমদার ব্রিকস ইটভাটায় ঘুমন্ত শ্রমিকদের উপর কয়লাবাহী একটি যান উল্টে যায়।

ঘটনা স্থলে সাথে সাথে ১৩জন শ্রমিকের নির্মম মৃত্যু হয়। আর গুরুতর আহত হয় আরও ২ জন শ্রমিক। এই মজুমদার ব্রিকসের তৎকালীন নাম ছিল কাজী এন্ড কোং।

ওই ঘটনার পর জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে বন্ধ করা হয় কাজী এন্ড কোং এর ইটভাটাটি। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে তখন। কিন্তু সেই তদন্ত এখনো আলোর মুখ দেখাতে পারেনি প্রশাসন। পরে প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক শেল্টারে মজুমদার ব্রিকস নামে ভাটাটি পুনরায় চালু করা হয়েছে নাম বদলে।

এলাকার স্থানীয় লোকজন জানান, চৌদ্দগ্রামের ঘোলপাশা ইউনিয়নের নালঘর নারায়নপুর, মুনুপুর ও চানপুরসহ আশপাশের এলাকায় বর্তমানে প্রায় ৪২টি ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটার অধিকাংশেরই কোন বৈধ কাগজপত্র নেই। রাজনৈতিক প্রভাব আর কিছু অসাধু সরকারি কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় বছরের পর বছর চলছে এসব ভাটা গুলো।

পরিবেশেল কোনো প্রকার তোয়াক্কা না করে দিনের পর দিন বড়ছে ইট ভাটা সাথে বড়ছে পরিবেশ ও বায়ু দূষণ, বাড়ছে শিশু এবং বয়স্কদের শ্বাসকষ্ট ও নানাবিধ জটিল রোগে।

পাশাপাশি জমিতে পর্যাপ্ত ফসল না হওয়ায় কমছে কৃষি বা আবাদি জমির পরিমাণও। ধান, গম, আলু, বেগুন থেকে শুরু করে আম, জাম, কাঠাল, নারকেল; ব্যাহত হচ্ছে সব ধরনের সবজি কিংবা ফলের উৎপাদন।

এতে কৃষি অর্থনীতিতে যেমন নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে তেমনি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন কৃষক। তাই আইন না মানা এসব ইটভাটা বন্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসীরা।

এ বিষয়ে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় মোট কতটি ইটভাটা রয়েছে তার পরিসংখ্যান এই মুহূর্তে আমার হাতে নেই, আমরা নিয়মিতই অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছি, চৌদ্দগ্রামেও যথাসময়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হবে, সেখানে অবৈধ ইটভাটা থাকলে আমরা তা বন্ধ করে দেব এবং ১৩ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় সেই ইটভাটা সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

সম্পাদনা: মো: সাগর আলী

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles