টপ নিউজ ডেস্কঃ ‘এই মাদরাসায় আর পড়বে না’ বলায় ফেনীর দাগনভুঁইয়ার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের দেউলিয়া নুরানিয়া হাফেজিয়া মাদরাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুলকে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্মম নির্যাতন করেছে মাদরাসার অধ্যক্ষ ফখরুল ইসলাম।
শনিবার (১১ জুন) রাত ৩টায় নির্যাতনের শিকার শিশু জাহিদুল হাসান (৭) মাদরাসা থেকে পালিয়ে টহলরত পুলিশের গাড়ির সামনে পড়লে, পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। পরে রবিবার সকালে নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত অধ্যক্ষ ফখরুল ইসলামকে মাদরাসা থেকে আটক করে।
পুলিশ ও শিক্ষার্থীর বাবা আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, জাহিদুল হাসানকে চলতি বছরের শুরুতেই মাদরাসার হেফজ বিভাগে ভর্তি করানো হয়। মাদরাসাটিতে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করা হয় বলে অনেক অভিযোগ শোনা যেত। শনিবার আবদুল্লাহ আল মামুন মাদরাসায় গেলে জাহিদুল তাকে নির্যাতনের বিষয়টি জানায় এবং বলে সে এই মাদরাসায় আর পড়বে না। কিন্তু তার বাবা তাকে বুঝিয়ে মাদরাসায় রেখে যান।
মাদরাসার অধ্যক্ষ ফখরুল ইসলাম বিষয়টি জানতে পারলে, ক্ষুদ্ধ হয়ে জাহিদুলকে মাদরাসার একটি কক্ষে শিকল দিয়ে বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন। পরে রাতে জাহিদুল বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে রাস্তায় গেলে টহলরত পুলিশের একটি দল তাকে দেখে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে দাগনভুঁইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে সকালেই অভিযুক্ত অধ্যক্ষ ফখরুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অভিযুক্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা