টপ নিউজ ডেস্কঃ রাজধানীর বঙ্গবাজারে কয়েকটি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৫ হাজার দোকান। কয়েক হাজার ব্যবসায়ী সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। এসব মার্কেটে কর্মরত অর্ধ লাখ কর্মচারী বেকার হয়ে পড়ার এবং আশঙ্কায় আছেন বেতন না পাওয়ার ।
রিয়াজুল গার্মেন্টস, খান ফ্যাশন, এস এ গার্মেন্টস, খান শাড়ি বিতানসহ বঙ্গ-মার্কেটে ৫টি দোকান ছিল ব্যবসায়ী মো. মামুনের। ঈদকে সামনে রেখে ৫টি দোকানে ১০ কোটি টাকার মালামাল তুলেছিলেন তিনি। কিন্তু আগুনে সব শেষ হয়ে গেছে এক নিমেষে। মুহূর্তের মধ্যে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়া এ ব্যবসায়ী কাঁদছিলেন আগুন থেকে বাচাঁতে পারা অল্পকিছু মালামালের ওপর বসে।
তিনি জানান, ১০ কোটির টাকার পণ্যের মধ্যে ১ কোটি টাকার মতো গত কিছুদিন বিক্রি করতে পেরেছেন । বাকি পুরো মালামাল দোকান ও গুদামে ছিল। এরমধ্যে মাত্র কয়েক লাখ টাকার মালামাল রক্ষা করতে পেরেছেন। বাকি সব মাল পুড়ে গেছে। এখন কীভাবে তিনি ঋণ পরিশোধ করবেন, কীভাবে দোকানের কর্মচারীদের বেতন দেবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না। ব্যবসায়ী মামুন বলেন, ‘আমার জীবনের সব উপার্জন যে আগুনে পুড়ে গেল, এই ক্ষতির দায় নেবে কে? কে আমার ঋণ পরিশোধ করবে? আমার তো কিছুই নেই। সব তো শেষ হয়ে গেছে।’
বঙ্গবাজার মার্কেটে ‘মায়ের দোয়া’ নামে ৬টি দোকান ছিল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হেলাল খানের। তার দাবি, এসব দোকানে ৬ কোটি টাকারও বেশি মালামাল ছিল। কোনো রকমে বের করতে পেরেছেন একটি দোকানের মালামাল । গোডাউনের মালামাল বের করতে পারেননি। কিছু পুড়েছে, বাকি সব পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। হেলাল খান জানান, ‘ঈদ উপলক্ষ্যে ৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকার মালমাল তুলেছি। সব নষ্ট হয়ে গেল। এখন সরকার যদি আমাদের সহযোগিতা করে, তাহলে কোনোরকমে উঠে দাঁড়াতে পারব। নয়তো আমাদের মরণ ছাড়া কোনো উপায় নেই।’
সম্পাদনায়ঃ পূরবী রায় ।