টপ নিউজ ডেক্স: জৈষ্ঠ্যের অসহনীয় ভ্যাপসা গরম পেরিয়ে আষাঢ়ের তৃতীয় দিনে দেখা মিলেছে প্রত্যাশিত ঝুম বৃষ্টির। প্রথম দু’দিন মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও বৃষ্টির দেখা মেলে নি। তৃতীয় দিনে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত থেমে থেমে কখনো মুষলধারে আবার কখনো ঝিরঝির বৃষ্টি ঝরেছে। একই সঙ্গে বাড়ছে প্রমত্তা পদ্মা নদীর পানিও। বৃষ্টির আবহে সবুজ প্রকৃতির মাঝে শোনা গেছে ব্যাঙের ডাক। আষাঢ়ে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ থেকে অঝর ধারায় ঝরা বৃষ্টির ছোয়ায় প্রকৃতিতে বর্ষার বন্দনা শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। প্রকৃতির শুষ্ক বুক বৃষ্টির ছোয়ায় জেগে উঠতে শুরু করেছে।
গতকাল শুক্রবার (১৭ জুন) নগরীতে ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। এরপর বিরতি দিয়ে বেলা সাড়ে ১০ টা থেকে প্রায় ১২ টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। দুপুরে জুম্মা নামাজ শেষে প্রায় ঘন্টাখানিক বিরতির পর ঝিরঝির বৃষ্টি শুরু হয়। যা বিরতি দিয়ে কিছু জায়গায় রাত পর্যন্ত অব্যাহত ছিলো। ছুটির দিনের বৃষ্টিতে খুব বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় নি নগরবাসীকে। বরং ভ্যাপসা গরমে স্বস্তির বার্তা নিয়ে বৃষ্টির প্রশংসা শোনা গেছে সবার কাছে। কিন্তু সামান্য বৃষ্টিতেই নগরীতে পানি জমে। সড়কে জমে থাকা আষাঢ়ের প্রথম বৃষ্টির পানিতে ছোট বাচ্চাদের আনন্দ করতেও দেখা গেছে। হাঁটু পানিতে ফুটবল নিয়েও নামতে দেখা গেছে তরুণ, কিশোরদের।
এদিকে রাজশাহী আবহওয়া অফিসের তথ্যমতে, গতকাল শুক্রবার (১৭ জুন) কয়েক দফায় ২২ দশমিক ৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিকেল ৬ টায় রেকর্ড হয়েছে ৩০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবং সর্বনিম্ন সকাল ৯ টায় ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরআগে গত ৯ জুন ১৮ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিলো, এছাড়া ১৩ জুন ১৩ দশমিক ৮ মিলিমিটার এবং ১৬ জুন ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
অপরদিকে, বেড়েছে রাজশাহীর পদ্মার পানি। গত মে মাসের ১৭ তারিখ থেকে নদীতে পানি বাড়ছে বলে জানিয়েছে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজরিডার মো. এনামুল হক। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার (১৭ জুন) এ মাসের সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৪৪ মিটার পানি ছিলো। যেটা ১ জুন ছিলো ৯ দশমিক ৭৮ মিটার। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায় সামনের দিনে পানির পরিমাণ আরও বাড়বে বলেও জানান তিনি এই কর্মকর্তা।
সম্পাদনায়: শাাহাদাত হোসাইন