সর্বশেষ

39.5 C
Rajshahi
বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪

রাবি অধ্যাপক তাহের হত্যা: রিভিউ খারিজের রায় প্রকাশ, আসামীদের মৃত্যুদন্ড বহাল

টপ নিউজ ডেক্স: প্রকাশিত হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তাহের হত্যা মামলায় আসামিদের রিভিউ খারিজের রায়। এর ফলে  আইনী বাধা নেই  ফাঁসি কার্যকরে শিক্ষক মহিউদ্দিন ও কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীরের।

বুধবার (৩ মার্চ) ২১ পাতার পূর্ণাঙ্গ এই রায় প্রকাশিত হয় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৮  সদস্যের  আপিল বেঞ্চ সাক্ষর করার পর । এর আগে গত ২ মার্চ রিভিউ খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৮ সদস্যের বেঞ্চ অধ্যাপক তাহের হত্যার দুই আসামি শিক্ষক মহিউদ্দিন ও কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীরের।

২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পদোন্নতি সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ রাবির কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয়। ৩ ফেব্রুয়ারি নিহত অধ্যাপক তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ  অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায়। 

এ মামলায় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে পুলিশ চার্জশিট দিয়েছিল। এই হত্যা মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে ৪ জনকে ফাঁসির আদেশ ও ২ জনকে খালাস দেন রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত।

দণ্ডিতরা হলেন,  একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, মো. জাহাঙ্গীর আলম নিহত অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার, কেয়ারটেকারের ভাই নাজমুল আলম ও আব্দুস সালাম নাজমুল আলমের সমন্ধি।

শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল দুই আসামির ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন হাইকোর্ট অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায়। 

ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখা দুই আসামি, একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও হত্যা হওয়া ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম। এরপর আসামিরা আপিল করেন আপিল বিভাগে এবং যাবজ্জীবন দণ্ডিত দুই আসামির দণ্ড বৃদ্ধি চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে।

শুনানি শেষে গত বছরের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ বহাল রাখেন হাইকোর্ট বিভাগের রায়। ১৫ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়, এরপর রিভিউ আবেদন করেন আসামিরা।

আসামিদের স্বীকারোক্তিগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন শুধুমাত্র প্রফেসর হিসেবে পদোন্নতি পেতেই ড. তাহেরকে হত্যা করেন কারন তার ধারণা ছিল, তার পদোন্নতি পাওয়া ড. তাহের বেঁচে থাকলে অধ্যাপক হিসেবে সম্ভব না, পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়।

সম্পাদনায়: শাহনাজ সাফা

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles