টপ নিউজ ডেস্কঃ একদিকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের আহ্বান তো অন্যদিকে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে সেনা মোতায়েন জোরদার করছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। রাশিয়ার সীমান্তবর্তী লিথুনিয়া, রোমানিয়া, এস্তোনিয়া, পোল্যান্ড ও বাল্টিক অঞ্চলের দেশগুলোতে যুদ্ধ বিমান, সাঁজোয়া ট্যাংক ধ্বংসের গোলাবারুদ, সাবমেরিন বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য ভারী অস্ত্রশস্ত্রের মজুত বাড়ানোর পাশাপাশি সেনা প্রস্তুত রাখার নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাটো।
বুধবার, ন্যাটোর প্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গ, ব্রাসেলসে ন্যাটোভুক্ত ৩০ দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর গণমাধ্যমে এমন সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানান। এ সময় স্টলটেনবার্গ আরো জানান ন্যাটোভুক্ত কোনো দেশ এই মুহূর্তে যুদ্ধ না চাইলেও, দেশগুলোর প্রতিরক্ষার জোরদার করার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত।
এছাড়াও স্টলটেনবার্গ বলেন, ন্যাটোর সদস্যভুক্ত ৩০টি দেশই সামরিক খাতে কমপক্ষে দুই শতাংশ ব্যায় বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টিনা লাম্বরেখস্ট ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। তাছাড়া নরওয়ের এ সামরিক বিশেষজ্ঞ পরিষ্কার করেন, ১৯৯৭ সালে রাশিয়া এবং ন্যাটোর মধ্যে যে শান্তি চুক্তি হয়েছিল তা সম্পূর্ণ অকার্যকর সেটিও।
অন্যদিকে, সোভিয়েত ইউনিয়নের বিমানবিধ্বংসী কামান ‘স্ট্রেলা’ যা একসময়ে পূর্ব জার্মানির ডি.ডি.আর.-এর জন্য তৈরি করা হয়েছিলো,সেটাই এবার যুদ্ধরত ইউক্রেনকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানির অর্থনীতি মন্ত্রণালয়। এছাড়াও জার্মানির অর্থনীতি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ইউক্রেনকে ২ হাজার ৭০০ যুদ্ধবিমান বিধ্বংসী রকেট খুবই দ্রুত সরবরাহ করা হবে।
এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলছেন, প্রতিবেশী দেশগুলোতে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত চরম আত্মঘাতী ও উসকানিমূলক। তিনি আরো বলেন, একদিকে ন্যাটো ও পশ্চিমা বিশ্ব বলছে আলোচনার মাধ্যমে সংঘাত নিরসণের কথা, আর অন্যদিকে রাশিয়ার পশ্চিম সীমান্তে ভারী অস্ত্র সরবরাহ এবং সৈন্য মোতায়েন করে ন্যাটো পুরো অঞ্চলের শান্তি বিনষ্টের পরিকল্পনা করছে। এই সিদ্ধান্তকে অগ্রহণযোগ্য বলেও হুঁশিয়ারি দেন পুতিন।
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা