টপ নিউজ ডেস্কঃ গত দুদিন তীব্র তাপদহের পর চুয়াডাঙ্গায় আজ থেকে অতি তীব্র তাপদহ শুরু হয়েছে। প্রচণ্ড রোদে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাস্তার পিচ গলে যেতে বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে। তবে এজন্য বিঘ্ন ঘটবে না যান চলাচলে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস।
অপরদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার জন্য মাইকিং করে মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে। এছাড়া সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে হিট স্ট্রোক ও ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে, বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান।
আজ শনিবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক জামিনুর হক জানিয়েছেন, আগামী ২১ এপ্রিলের পর থেকে তাপদাহ কমতে পারে।
এদিকে তীব্র তাপদাহে অস্থির হয়ে পড়েছেন শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালকরা। কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষেরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে। দেখা গেছে, শহরের বেশ কিছু সড়কের পিচ গলে যেতে। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, শহরের কিছু স্থানে রাস্তার পিচ গলে যাচ্ছে আমিও দেখেছি। তবে যান চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। কিন্তু পিচ বেশি গলে গেলে খোয়াগুলো নরম হয়ে গেলে চলাচলে বিঘ্ন ঘটবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান তীব্র দাপদাহ সম্পর্কে বলেন, তীব্র তাপদাহে ঝুঁকি থাকে হিট স্ট্রোকের। বাইরে বের না হতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে অতি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া। রোজাদারদের সন্ধ্যার পর বেশি বেশি পানি ও ফলমূল খেতে বলা হচ্ছে। শিশু, কিশোর ও যারা রোজায় থাকছেন না তাদেরকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ঘন ঘন পানি ও শরবত পান করার।
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা