টপ নিউজ ডেক্স: বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ। যা রেকর্ড দীর্ঘ তাপপ্রবাহ গত ৫০ বছরের মধ্যে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো। এছাড়া পরিস্থিতি আরও শোচনীয় করেছে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস ও গাল্ফ নিউজের প্রতিবেদনে পাওয়া গেছে এসব তথ্য। এতে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির রাজধানী ঢাকায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকছে তাপমাত্রা। তাতে গরিব মানুষ ভুগছে সবচেয়ে বেশি।
উদ্ভূত পরিস্থিতি সামলাতে সরকার বন্ধ করে দিয়েছে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবু শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং ফ্যানের চাহিদা বাড়ছে দেশটিতে। কিন্তু নাটকীয়ভাবে কমে গেছে বিদ্যুৎ উৎপাদন।
গত সোমবার বন্ধ হয়ে গেছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কয়লাচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। কারণ, ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় জ্বালানি পণ্যটির সরবরাহ সরকার নিশ্চিত করতে পারেনি।
২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে প্রায় ২৫ শতাংশ কমেছে বাংলাদেশের টাকার মান। ফলে জ্বালানি আমদানি এবং বিদ্যুতের অন্যান্য ইউটিলিটির বেড়ে গেছে খরচ। চালু থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোও চাহিদামতো উৎপাদন করতে পারছে না বিদ্যুৎ। পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ থাকছে না ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্ক করে বলেছে, শিগগিরই কমছে না গরম। বিজ্ঞানীরা বলছেন, গ্রীষ্মের মাসগুলোতে এদেশে আরও ঘন ঘন, তীব্র ও দীর্ঘতর তাপপ্রবাহে জলবায়ু পরিবর্তন অবদান রাখছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রায়শই বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। বিশেষ করে পোশাক খাত, যা দেশটির ৮০ শতাংশ মোট রপ্তানির।
তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে অনেকে শরণাপন্ন হচ্ছেন চিকিৎসার। অধিকাংশই রোগী হিট স্ট্রোকে ভুগছেন। এছাড়া আছে তাপমাত্রাজনিত অন্যান্য সমস্যাও। এরই মধ্যে কর্তৃপক্ষ উৎসাহিত করেছেন নাগরিকদের ঘরের মধ্যে থাকতে। সেই সঙ্গে তারা পরামর্শ দিয়েছেন প্রচুর পরিমাণে পান পানের। তবে দেশের অনেক স্থানে দেখা গেছে পানি স্বল্পতা।
সম্পাদনায়: শাহনাজ সাফা