সর্বশেষ

32.5 C
Rajshahi
মঙ্গলবার, মে ১৪, ২০২৪

গরমে ডায়েরিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় রামেক হাসপাতাল চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে

টপ নিউজ ডেক্স: এই ভ্যাপশা গরমে মার্চ মাসের শুরু থেকেই রাজশাহীতে ডায়েরিয়ার প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। গত এক সপ্তাহে ডায়েরিয়ার প্রকপ আরও বেড়েছে। বর্তমানে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ডায়েরিয়া রোগীর সংখ্যা এতোটাই বেড়ে গেছে যে, হাসপাতালে চিকিৎসা দিতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। হাসপাতালের ওয়ার্ডে জায়গা না পেয়ে শত শত ডায়েরিয়া রোগীকে বারান্দার মেঝেতেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।

রামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে যে, গত একমাসে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রায় এক হাজার ৬৩৫ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরু থেকেই হাসপাতালে ডায়েরিয়া রোগীর সংখ্যাও ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। গতকাল শনিবার ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রামেক হাসপাতালে নতুন ৭২ জন রোগী ভর্তি হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

সরেজমিনে রামেক হাসপাতাল গিয়ে ঘুরে দেখা গেছে- ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য আলাদা কোনো ওয়ার্ডই নেই। কিছু কিছু ওয়ার্ডে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আলাদা করে ডায়েরিয়ার রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। তবে এ রোগীর সংখ্যা এতোটাই বেড়েছে যে হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে আলাদা করে চিকিৎসা দিলেও প্রতিদিন হাসপাতালে যেহারে রোগীর সংখ্যা বাড়ে চলেছে তাতে হাসপাতালের ওয়ার্ডের শয্যা কিংবা মেঝে ঠাসাঠাসি করেও তাদের চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। বিভিন্ন ওয়ার্ডের বারান্দার মেঝেই এখন এসকল ডায়েরিয়া রোগীদের জন্য চিকিৎসার একমাত্র ভরসার স্থল। ফলে এ গরমে বারান্দায় ফ্যান না থাকায় ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের পড়তে হয়েছে চরম দুর্ভোগে।

 গোটা মার্চ মাসে রামেক হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগি ভর্তি সংখ্যা হয় এক হাজার ৬৩৫ জন। আর গতকাল শনিবার হাসপাতালে ডায়েরিায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৭২ জন রোগী ভর্তি হয়। তাদের মধ্যে অধিকাংশের জায়গা হয়েছে বারান্দার মেঝেতে। তাদের অনেকেই আবার বারান্দার মেঝেতেও জায়গা না পেয়ে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালেও চিকিৎসা নিচ্ছেন।

রামেক হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মাহাবুবুর রহমান বাদশা বলেন, ‘রাজশাহীতে বেশ কয়েকদিন থেকেই রোদের প্রখরতা তীব্র সেই সাথে ভ্যাপসা গরমও। যার কারণে এই অঞ্চলে ডায়েরিয়া রোগীর সংখ্যাও প্রকট আকার ধারন করেছে। যদিও ডায়েরিয়া একটি পানিবাহিত রোগ। তারপরও গরম কিংবা ঠাণ্ডার প্রভাবেও অনেক সময় ডায়েরিয়ার সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। রাজশাহীতেও সেটিই হয়েছে। এজন্য সবাই নিজ নিজ পরিবারকে নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেছেন ,‘উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল এটি। কিন্তু প্রতিদিন যে হারে রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন সেই তুলনায় শয্যার সংখ্যা অপ্রতুল। এজন্য অবশ্য আমরা হাসপাতাল সম্প্রসারণ ও শয্যার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেছি।

সম্পাদনা: নাসরিন ইসলাম

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles