টপ নিউজ ডেস্কঃ আজ শুক্রবার (১২ আগস্ট) আন্তর্জাতিক যুব দিবস। এই দিবসের লক্ষ্য বিশ্বের সব দেশের সরকার যেন তাদের দেশের যুবকদের প্রতি মনোযোগী হয় এবং তাদের প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য সচেতনতা তৈরি করে। যুবাদের শিক্ষা থেকে স্বনির্ভর হওয়ার পথে সরকারের কর্তব্য তাদের সাহায্য করা। এই উপলব্ধি করাতে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী যুব দিবস পালিত হয়।
প্রথম বিশ্ব যুব ফোরাম অনুষ্ঠিত হয়েছিল জাতিসংঘ কর্তৃক অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনাতে। যুব সমাজের এক প্রতিনিধি সেই ফোরামেই প্রথম এই বিশেষ দিবসটি পালন করার প্রস্তাব দেন। তখনই সর্বসম্মতভাবে সেই প্রস্তাব গৃহীত না হলেও, ১৯৯৮ সালে জাতিসংঘ আয়োজিত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যুবকল্যাণ মন্ত্রিদের সমাবেশে এই দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক যুব দিবস’ পালন করার ব্যাপারে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
দিবসটির এবারের থিম হলো ‘বয়স-নির্বিশেষে সাম্য: সব বয়সীদের জন্য এক বিশ্ব’। অ্যাজেন্ডা ২০৩০-কে সার্থক করে তোলা এবং উন্নয়নের ১৭টি লক্ষ্যকে সুচারুভাবে প্রণয়ন করা হল এই থিমের মূল উদ্দেশ্য।
বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠিই তরুণ ও যুবক। উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রকৃত কারিগর তারাই। এদেশের মুক্তি সংগ্রাম থেকে শুরু করে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এ দেশের যুবসমাজ নেতৃত্ব দিয়েছে। শুধু তাই নয় এই যুব সমাজের ভূমিকা অবিস্মরণীয় দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজকে আলোকিত করতে। এদেশের ক্রান্তিকালে সব সময় নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করার মধ্য দিয়ে নিজেরা যেমন হয়েছেন ইতিহাসের উজ্জ্বল স্বাক্ষী, তেমনিভাবে যুবসমাজের এই আত্মত্যাগ পরবর্তী প্রজন্মের জন্য হয়ে আছে চির অনুসরণীয়। তবে সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে আজ যুব সমাজ কখনো কখনো আমাদেরকে উদ্বিগ্ন করে। কারণ আজ যুবসমাজ নানা ধরণের ঘৃণ্য অপকর্মের সাথে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, নেশায় আসক্ত হয়ে পরিবার সমাজ এবং রাষ্ট্রের জন্য বোঝা হয়ে তৈরি হচ্ছে যুবসমাজ। এ কখনোই কাম্য নয়। তাই দিবসটি পালনের মাধ্যমে যুবসমাজকে সঠিক পথে পরিচালনার জণ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা