টপ নিউজ ডেস্কঃ আজ ১৩ জুন ‘জাতীয় নারী উত্যক্তকরণ প্রতিরোধ দিবস’। আমাদের দেশে ইভটিজিং বা যৌন হয়রানির মাত্রা ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে, কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে এবং সচেতনতা গড়ে তুলতে ২০১০ সাল থেকে এই দিবস পালন করা হয়। এই দিবসটির উদ্দেশ্য হচ্ছে রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে নারীর স্বাভাবিক চলাচল, জীবনযাপন অবাধ, সমুন্নত করা ও তাদের অধিকার এবং সম্মান বজায় রাখার।
সভ্যতার সূচনালগ্নে পুরুষের পাশাপাশি নারীর অবদান অনস্বীকার্য। নারীর ভূমিকা সমাজ-সভ্যতার অগ্রযাত্রার ইতিহাসে সমান্তরাল। কিন্তু তারপরও নারীরা প্রতিনিয়ত সহিংসতার শিকার হচ্ছে। মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)-এর তথ্যমতে, গত মে মাসে ৪১৪টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, যা গত এপ্রিল মাসের তুলনায় ৪৭টি বেশি। মে মাসে ধর্ষণের ঘটনা ৮৪টি, যা বিগত মাসে ছিল ৭১টি। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪ জন কিশোরীসহ ১০ জন প্রতিবন্ধী এবং দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে প্রতিবন্ধী ১ জন কিশোরী ও ২ জন নারী। ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ছিল ৪টি। মে মাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ২২টি, যা এপ্রিল মাসে ছিল ১৪টি।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ইভটিজিং বা যৌন হয়রানি বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র আইন প্রণয়ন ও তা প্রয়োগের জন্য সচেষ্ট হয়ে ব্যাপক কর্মসূচি নিয়ে থাকে। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রণয়ন করা আইনটি একটি আলাদা আইন হিসেবে দেখানো হলেও পরবর্তীকালে সেটা নারী নির্যাতন আইনের আওতায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়। বিশেষ করে স্কুল ছাত্রীদের প্রতি বখাটেদের উত্যক্তকরণে নেয়া হয়েছিল তাগিদ ও কর্মসূচি। প্রতিবছর দিবসটি সবার মাঝে আলোড়ন তোলে। কিন্তু এই বছর এই বিশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ দিবসটি ঘিরে নেই কোনো উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি।
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা