খেজুর অত্যন্ত সুস্বাদু এবং বেশ পরিচিত একটি ফল। এটি ফ্রুকটোজ এবং গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধি।এই খেজুর রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। খেজুরকে কিন্তু চিনির বিকল্প হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।
খেজুর শরিরে শক্তির একটি ভালো উৎস। তাই খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়ে যায় ।এতে আছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন বি। যা ভিটামিন বিসিক্স মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
খেজুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে, চারটি বা ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, এক গ্রাম প্রোটিন,ও ১৩ মি.লি. গ্রাম ক্যালসিয়াম এবং ২ দশমিক ৮ গ্রাম ফাইবার। এছাড়াও খেজুরের রয়েছে আরও অনেক অনেক পুষ্টি উপাদান।
সারাদিন রোজা রাখার পর এমন কিছু খাওয়া জরুরি যা কম সময়ে শরিরে জোগাবে কর্মশক্তি। তার জন্য খেজুর খুবই উপযোগী একটি খাদ্য। পাশাপাশি, খেজুরে রয়েছে আরও নানান গুণ।
খেজুর প্রচুর হজমশক্তিবাড়াতে সক্ষম। সারাদিন না খাওয়ার পর সন্ধ্যায় ইফতারে ভালমন্দ খাওয়ার চল রয়েছে সারা বিশ্বেই। বিশেষ করে এ সময় নানা ধরনের ফল এবং ভাজাপুড়া খান অনেকে। খেজুর সে সব খাবার হজম করতে সাহায্য করে থাকে।
খেজুরে রয়েছে পুষ্টির নানান উপাদান। সারাদিন রোজা রাখার পর শরীরের ফাইবার প্রয়োজন হয়। যা খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। ইফতারে ৩/৪ টি খেজুর খেলে ফাইবারের ঘাটতি অনেকটাই পূরন হয় যায়।
রোজা মানেই সারা দিন কিছুই না খেয়ে থাকা।কিন্তু দিনের কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য শরীরকে সচল রাখতেই হয়। খেজুরে রয়েছে পরিমান মত ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন। এই তিনটি উপাদানই শরীর সচল রাখতে সাহায্য করে।
খেজুরে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর ক্ষারীয় লবণ। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। নিয়ন্ত্রণ করে রক্তে শর্করার মাত্রাটিও।
সম্পাদনায়: নাসরিন ইসলাম