সর্বশেষ

28.3 C
Rajshahi
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যাক্ষকে হয়রানির অভিযোগ

টপ নিউজ ডেস্কঃ রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ জহুরুল ইসলাম জনির বিরেুদ্ধে ইউনিয়নের ১১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা আত্নসাৎ এর অভিযোগ এনে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৩ জুলাই রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাক্ষরিত তার কাছে পাঠানো কারণ দর্শানো নোটিশের মাধ্যেমে এ অর্থ আত্নসাৎ এর মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাকে চক্রান্ত মূলক হয়রানি করছেন ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এমন কি নগরীতে আমার ছবি দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলে ফেসটুন বানিয়ে বিভিন্ন স্থানে সাটিয়েছেন তারা। এতে আমার চরম সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

ইউনিয়নের অর্থ আত্নসাৎ এর অভিযোগ তুলে গত ৩ জুলাই কোষাধ্যক্ষ জনির কাছে পাঠানো কারণ দর্শানো নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ আগস্ট রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নওদাপাড়া অফিসের ঠিকানায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর পাঠানো কারন দর্শানো নোটিশের লিখিত জবাবে উল্লেখ করেন জনি, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে যে আমি ইউনিয়ন থেকে হাওলাতি টাকা ১ লক্ষ ২৮ হাজার ২৮০ টাকা, শেয়ারের ১৭০ জন শ্রমিকের ৩ হাজার টাকা করে মোট ৫ লক্ষ ১০ হাজার টাকা, ইউনিয়নের নতুন সদস্য অন্তভুক্তি ২৭ জন শ্রমিকের ৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ইউনিয়নের তহবিলে জমা না দিয়ে আত্নসাৎ করেছি। সব মিলে আমার উপরে ১১ লক্ষ ৭৮ হাজার ২৮০ টাকা আত্নসাৎ এর অভিযোগ এনে যে নোটিশ সভাপতি ও সম্পাদক পাঠিয়েছে তা চক্রান্ত মূলক ও সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। চক্রান্ত মূলক মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাকে হয়রানির চেষ্টা করা হচ্ছে।

নোটিশের লিখিত জবাবে তিনি আরো উল্লেখ করেন, আমি গত ৬ জুন ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব আলীর কোটি কোটি টাকা আত্নসাৎ ও লুটপাট করেছে ইউনিয়ন থেকে তার চিত্র প্রমানসহ তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেছি। যা বিভিন্ন গনমাধ্যমেও এসেছে। তাই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা অর্থ আত্নসাৎ এর অভিযোগ চাপানোর চেষ্টা করছেন এখন।

আমার নায্য ১৭ মাসের সম্মানী ভাতা এক লক্ষ ১০ হাজার ৫০০ টাকা এখন পর্যন্ত দেয়া হয়নি আমাকে।  টাকার অভাবে অনেক শ্রমিক ও কর্মচারী চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হয়েছে। সেহেতু আমার বিরুদ্ধে অর্থ আত্নসাৎ এর অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। আমাকে ফাঁসাতে নতুন করে চক্রান্ত করা হচ্ছে। শেয়ার হোল্ডারের ৫ লক্ষ ১০ হাজার টাকা আত্নসাৎ এর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে এখন। গঠন তন্ত্রের নিয়ম অনুসারে কোষাধ্যক্ষের যে কাজ তা আজ পর্যন্ত করতে দেয়া হয়নি আমাকে। আমাকে দিয়ে শুধু পূবালি ব্যাংকের চেক স্বাক্ষর আর ভাউচার স্বাক্ষর করিয়েছেন ইউনিয়নের সম্পাদক । তার অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনে ২০২১ সালে ১ লা ফেব্রুয়ারী মাস থেকে এ পর্যন্ত আমাকে দিয়ে কোন ভাউচার স্বাক্ষর করে নিতে পারেনি তারা। কোষাধ্যক্ষ আমি থাকার পরেও সম্পূর্ণ হিসাব সম্পাদক ও অফিস সহকারি পারভেজকে দিয়ে করিয়েছেন।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles